জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।
গতকাল শুক্রবার কাট্টলী রাসমনি ঘাটস্থ ‘শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে’ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, স্কাউট, গাইড, রোভার, রেঞ্জার, বিএনসিসি, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও ছাত্র-ছাত্রীদের কুচকাওয়াজ, ২০ ইঞ্চি প্রস্থ ও ১০৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে জন্মদিনের কেক কাটা, শিশু সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, নগরীর ১০ বিশিষ্ট গুণিজনকে সংবর্ধনা প্রদান এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর গান ও কবিতা প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ১০৩ শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে ১০৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে জন্মদিনের কেট কাটেন। পরে তিনি শিশু সমাবেশ, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও বঙ্গবন্ধুর জীবন শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে সংবর্ধিত ১০ গুণী ব্যক্তি হলেন শিক্ষায়- চবি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধে – চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, ধর্মীয় ও মাদ্রাসা শিক্ষায়- (মরণোত্তর) জামিয়া সুন্নিয়া আহমদিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা জালাল উদ্দিন আলকাদেরী, চিকিৎসায়- বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ ওয়াহেদ, স্থাপত্য শিল্পে- স্থপতি বিধান বড়–য়া, অবকাঠামো উন্নয়নে- গণপূর্ত বিভাগ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান, সাহিত্যে- বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত ছড়াকার রাশেদ রউফ, নারী শিক্ষায়- এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তহুরীন সবুর ডালিয়া, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষায় – খান সাহেব আবদুল হাকিম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রফিক আহমেদ, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষায়- নুরুল হক চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। সংবর্ধিত উল্লেখিত অতিথিদের ফুলের তোড়া ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দূত এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তিনি না হলে বাঙালি নামক কোন জাতির একটি রাষ্ট্র পৃথিবীর বুকে স্থান পেতনা। তিনি জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে সকলকে দেশ প্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি চবি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের শেষ্ঠ বাঙালি। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন জাতি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলহাজ্ব হোছনে আরা মনুজর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টি মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সাবেক কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, তাহের মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ বাদশা আলম, এম এইচ কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী, শিক্ষক আবু ছগির, মাহবুবুর রহমান, লায়লা নাজনিন রব, বিকাশ কুমার মজুমদার, আবদুস ছাত্তার মজমুদারসহ অন্যরা। বিজ্ঞপ্তি