নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজস্থলী :
রাঙ্গামাটির দশটি উপজেলার মধ্যে ক্ষুদ ও প্রত্যন্ত অঞ্চল নামে পরিচিত এই রাজস্থলী।
জেলার একমাত্র ঐতিহ্য বহনকারী এই উপজেলা। রাঙামাটি কোন উপজেলার এ ধরনের কোন বহুজাতি বসবাস নেই। এখানে মারমা, তঞ্চগ্যা, ত্রিপুরা, খিয়াং, চাকমা, রাখাইন, বাঙ্গালী।
ইদানিং চাক ও পাংখোয়া সম্প্রদায় বসবাস করতে দেখা গেছে। এক সময় সেগুন ব্যবসা জোন হিসেবে ব্যবসায়ীদের কাছে পরিচিত ছিল। আর সোনালী দিনগুলোতে ছিল শান্তি শৃঙ্খলা উন্নয়নের কারণে রূপসী রাজস্থলী নামকরণ করা হয়েছে।
পুরো উপজেলা বিভিন্ন স্তরে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর আগে অজ্ঞাত কারণে সেগুন ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় লকডাউনে পাহাড়ী- বাঙ্গালীর কাচামাল পণ্যগুলো হিমাগার অভাবে কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে।
চলতি বছরের আম বাগানে মালিক বোক্যসিং মারমা, সিনুমং মারমা ও মংসিউ মারমা জানান, ন্যায্য দামে চেয়ে অনেকগুণ কম দামে আম বিক্রি হয়েছে।
আম্র পালি প্রতি কেজি ১৫-২০ টাকা, রাংখোয়া আম কাচা প্রতি কেজি ১০-১৫ টাকা।
এদিকে গ্রামীণ রাস্তাগুলো দীর্ঘ দিন সংস্কার অভাবে ব্রীজ কালর্ভাট নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে, বাজারের সাথে গাড়ি যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুল হোসেন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, রাস্তা ও ব্রীজ কালর্ভাট স্থাপনের জন্য কতৃর্পক্ষে নিকট তালিকা প্রেরণ রয়েছে।
রাজস্থলী বাজার ব্যবসা সমিতির সভাপতি মো. শেখ আহম্মদ জানান, ঘন ঘন লকডাউন কারনে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করার অবস্থা হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে নিত্যদ্রব্য উর্ধ্বগতি দাম।
এছাড়া স্থানীয় দিন মজুরী মঙ তঞ্চগ্যা জানান, টাকার অভাবে কেউ আগের মত দাম লেবার নিচ্ছে না।
সপ্তাহের ২-৩ দিনের বেশী কাজ পায় না। সাক্ষাতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্র মগ বলেন, রাজস্থলী মানুষগুলো অনেকেই নিরব দুর্ভিক্ষ দিন অতিবাহিত করছে। কষ্টে আছে গরীব ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। কেউ আর কারোর কথা শুনছে না।