রাজু কুমার দে, মিরসরাই »
লেবু চাষ করে সফল হয়েছে জামাল উদ্দিন। লেবু চাষের আয় দিয়ে গড়েছেন পাকা ঘর। পড়ালেখা শিখাচ্ছেন দুই সন্তানকে। পাশাপাশি ১০-১৫টি গরু লালনপালন করে থাকেন। জামাল উদ্দিনের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেরামারা গ্রামে।জানা গেছে, জামাল উদ্দিন গত ৮ বছর আগে ১ একর পাহাড়ি জমিতে লেবু বাগান করেন। প্রথমে ফলন বেশি না হলেও ধীরে ধীরে ফলন বাড়তে থাকে। ফলন বেশি হওয়ায় আস্তে আস্তে ১০ একর জমিতে লেবু বাগান করেন জামাল। পাশাপাশি ১০-১৫টি গাভীর লালনপালন শুরু করেন। এছাড়া প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে গরু বর্গা নিয়ে লালনপালন করেন। পরে কোরবানির ঈদে সেই গরু বিক্রি করে কয়েক লাখ লাখ টাকা আয় করেন।
বর্তমানে তার বাগানে দৈনিক ৮/১০ জন শ্রমিক কাজ করে থাকে। লেবু ও গরু বিক্রির টাকায় গড়েছেন পাকা দালান। পড়ালেখা শিখাচ্ছেন দুই সন্তানকে। লেবু চাষি জামাল উদ্দিন জানান, তিনি আগে দিন মজুরি কাজ করতেন। পরে গত ৮ বছর আগে শখের বসে তিনি করেরহাটে ১ একর পাহাড়ি জমিতে লেবু চাষ করেন। লেবু চাষে আয় বেশি হওয়ায় তিনি ধীরে ধীরে ১০ একর জমিতে লেবু চাষ করেছেন। বর্তমানে তার লেবু বাগানে দৈনিক ৮/১০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। লেবু চাষের পাশাপাশি তিনি বর্গা গরু লালন পালন করে সফল হয়েছেন। চলতি বছর লেবু চাষ থেকে আয় করেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এছাড়া কোরবানির ঈদে বর্গা গরু বিক্রি করে আয় করেন ৭ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, অর্থ কষ্টে নিজে পড়ালেখা শিখতে পারেননি। কিন্তু নিজের সন্তানদের পড়ালেখা শেখাচ্ছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন তার সন্তানরা পড়ালেখা শিখে মানুষের মতো মানুষ হবে। দেশের কল্যাণে কাজ করবে। মিরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, মিরসরাইয়ের করেরহাট এলাকায় লেবু চাষ করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এখানকার উৎপাদিত লেবু ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কৃষি অফিস লেবু চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন।