নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে চন্দনাইশে আরও ৫১টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ঘর দেওয়া হবে। রবিবার ২০ জুন সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এসব সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করবে প্রশাসন।
সম্প্রতি এসব বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহফুজা জেরিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দীন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, বৈলতলী ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী দুলাল, দোহাজারী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শ্যামল চন্দ্রসহ চন্দনাইশ কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের বশরতনগর মৌজায় ০.৭০ একর জমির ওপর ২৯ টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল মৌজায় ০.৮০ একর জমির ওপর ২২টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষের পথে।
ব্রিফিংয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম বলেন, “জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। সেজন্য এসব পাকাঘর নির্মাণ করে উপকারভোগীদের দলিল করে দেওয়া হচ্ছে। সারা বিশ্বের কোথাও এই ধরনের উদ্যোগ কেউ নেননি। প্রধানমন্ত্রী গত ২৩ জানুয়ারি সত্তর হাজার পরিবারে ঘর হস্তান্তর করেছেন। এটি সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে একটি মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঘরবাড়ি নেই ও ভূমিহীন এমন পরিবারগুলোই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসের সুযোগ লাভ করবেন। এক্ষেত্রে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ও আয়বর্ধক কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহারিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে সবাই যাতে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেজন্য দেওয়া হবে ক্ষুদ্রঋণ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাস জমিতে উপকারভোগীদের ২ শতক জমির ওপর সেমিপাকা ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সবগুলো ঘর সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে। ইটের দেয়াল, উপরে রঙিন টিনের চাল। প্রতিটি ঘরে দুইটি শোবার ঘর, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট, খোলা বারান্দাসহ অন্যান্য সুবিধা থাকছে। বৈলতলী বশরত নগর এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কাবিটা কর্মসূচির আওতায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর ২৯টি ঘরের মধ্যে ২৪টি ঘরের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা করে এবং ৫টি ঘরের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা করে। অপরদিকে দোহাজারী পৌরসভার দিয়াকুল এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের টিআর কর্মসূচির আওতায় ২২ টি ঘরের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা করে।
গ্রাম