সুপ্রভাত ডেস্ক
‘প্রহেলিকা’ সিনেমার গানের শুটিং শেষে ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে কক্সবাজার ফিরছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও সবাই যখন ফেরেন, তখন সকাল ছয়টা। পরিচালক জানান, পাঁচ ঘণ্টা ধরে তারা গভীর সমুদ্রে আটকে ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনায় চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, “মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও শাহাদাত সোহেল ভাইয়ের পারদর্শিতার কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পুরোটাই অসম্ভব মিরাকল ছিল।”
ঘটনার ব্যাপারে অভিনয়শিল্পী মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘মধ্যসমুদ্রে আমরা আটকা পড়ব, ভাবতেও পারিনি। যে পরিস্থিতির মধ্যে আমরা পড়েছি, এমনটা নাকি কখনো হয় না। বারবার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আমরা ফেস করছি। এমভি বে ওয়ান থেকে যে জাহাজ আমাদের কক্সবাজার নিয়ে যাবে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে সেটিও কাছে আসতে পারছিল না। সব মিলিয়ে ভয়ংকর একটা সময় গেছে।’
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কারিগরি ত্রুটির কারণে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার পথে যাত্রীসেবা বন্ধ রেখেছে। এ সময়ে বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান দিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজার পথের যাত্রীদের আনার কাজটিতে সহযোগিতা করেছে। তবে এমভি বে ওয়ান কক্সবাজার ঘাটে আসেই না। এই পথে যারা এমভি বে ওয়ানে করে এই কয় দিন এসেছে, তাদের গভীর সমুদ্র থেকে বারো আউলিয়া জাহাজে কক্সবাজার ঘাটে আনার কাজ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বারো আউলিয়া জাহাজের যাত্রীর ধারণক্ষমতা ৬০০। এমভি বে ওয়ানে গতকাল যাত্রীসংখ্যা হাজারের বেশি ছিল। দুই ধাপে এসব যাত্রীকে আনা-নেওয়া করতে হয়েছে। এত যাত্রীকে ওঠানোর জন্যও তো অনেকক্ষণ সময় লাগে। তাই ঘণ্টা পাঁচেক গভীর সমুদ্রে জাহাজটি দাঁড়িয়ে ছিল। আজ থেকে আবার কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চলাচল করবে। এরপর আর এ ধরনের জটিলতায় যাত্রীদের পড়তে হবে না।’