দুজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫, তিনজন আটক
শাহ আমানত সেতু থেকে যাত্রীবেশে বাসে উঠে ডাকাতদল
নিজস্ব প্রতিনিধি , চকরিয়া :
চকরিয়ায় যাত্রীবেশে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে এক ডাকাত চালকের আসনে বসে ডাকাতি সংঘটিত করেছে। এ সময় ডাকাতের গুলিতে দুজন গুলিবিদ্ধ এবং মারধরে আরও ১৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজনকে প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পেটে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।
শুক্রবার ভোররাত চারটায় মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী পাহাড়ি ঢালা থেকে শুরু করে চকরিয়ার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন খুটাখালীর ফুলছড়ি নতুন অফিস পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বাসের ভেতরে এ ডাকাতির ঘটনা হয়। বাসটিতে সাতজন ডাকাত ছাড়াও ৩৭ জন যাত্রী ছিলেন। এসব যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন কেউ ব্যবসায়ী, আবার কেউ পর্যটক এবং চাকরিজীবী।
আক্রান্ত বাসের যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু পয়েন্ট থেকে এদিন রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ডাকাতদলের সদস্যরা যাত্রীবেশে বাসে উঠে। পরে রাত চারটার দিকে বাসটি চকরিয়া শহর অতিক্রম করে কক্সবাজারের দিকে চলে যাবার পাথে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাতদল প্রথমে অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর এক ডাকাত চালকের আসনে বসে এবং অন্য ডাকাতরা বাসে ডাকাতি শুরু করে।
যাত্রীরা আরও জানান, ডাকাতির শুরুতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অন্তত ২০টি মোবাইল ও চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পরে তারা নির্বিঘেœ বাস থেকে নেমে পড়ে।
ডাকাতের গুলিতে আহত আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)। একটি গুলি সরাসরি তার পেটে বিদ্ধ হয়। হাতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব উদ্দিন (৩০) নামে আরেক যাত্রী। অপরদিকে মারধরে আহত অন্য যাত্রীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন আন্দরকিল্লাহ এলাকার মনু খানের ছেলে বিল্লাল হোসেন জনি (২৬)। তিনি এই ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ওই বাসের ভুক্তভোগী যাত্রী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নুরেখোদা সিদ্দিকী বলেন, ডাকাতির ঘটনায় যাত্রীদের কাছ থেকে কী পরিমাণ টাকা, মোবাইল, অলঙ্কার খোয়া গেছে তা বিস্তারিত তদন্তের পর জানা যাবে।’
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য বাস সংশ্লিষ্ট তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জব্দ করা হয়েছে যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি। পাশাপাশি ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।