উৎসবের আমেজে চলছে পূজার প্রস্তুতি
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
আগামী ২২ অক্টোবর মা দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজা। এবার দূর্গা মর্ত্যলোকে আসছেন দোলায় চড়ে আর গজে ছড়ে দেবলোকে ফিরে যাবেন। এই দুর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে আনন্দ বিরাজ করলেও করোনা মহামারির নানা বিধিনিষেধের কারণে অনেকটা ভাটা পড়েছে আনন্দে। তবে সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়েই শেষ মহুর্তে চললে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তুলছেন প্রতিমাকে। চকরিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন সুত্রে জানা গেছে, মোট ৮৮টি পূজা মন্ডপে দূর্গোৎসব পালিত হবে। তন্মধ্যে প্রতিমা পূজা ৪৬টি আর ঘট পূজা ৪২টি। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারে এ লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন পূজা উদযাপন কমিটি ও স্ব-স্ব মন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথেও একাধিকবার সভা করেছেন। চকরিয়া সার্ব্বজনীন কেন্দ্রীয় হরি মন্দির পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজিত কান্তি দে জানান, করোনা মহামারির কারণে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে এবারের পূজা পালন করতে হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তারমধ্যে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা এবং পুজা মন্ডপে ঢুকার মুহুর্তে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা। আমাদের পক্ষ থেকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য ব্যবস্থাও নিয়েছি।চকরিয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন,দুর্গোৎসব যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠানগুলো শেষ করতে হবে। এছাড়া প্রতিবছর মাতামুহুরী নদীতে যে বিসর্জন হতো প্রশাসনের নির্দেশে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। স্ব-স্ব পুকুর বা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নিবে কমিটির নেতৃবৃন্দ। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। মোতায়েন থাকবে পুলিশের একাধিক মোবাইল টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা পূজা মন্ডপের আশপাশে নিয়োজিত থাকবে। আশা করি সুষ্ঠভাবে দূর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা। এরমধ্যে পূজা কমিটি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সাথে নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিধিনিষেধগুলো সম্পর্কে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া চকরিয়া উপজেলার যতগুলো মসজিদ রয়েছে সবগুলো মসজিদে একই সময়ে নামাজ ও জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ইসলামি ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছে। তারা এই বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।