বাংলাদেশে নবনিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সুমিতমোর দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।এ সময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও থাই অনারারী কনসাল আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ অঞ্জন শেখর দাশ, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন ও সাজির আহমেদ এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই) এর প্রধান নির্বাহী ওয়াসফি তামিম বক্তব্য রাখেন।
অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ একে এম আক্তার হোসেন, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. ওমর ফারুক, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর পানম থংপ্রায়ুন, মিনিস্টার কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) খেমাথেট আর্চাওয়াথামরং, কাউন্সেলর ডুয়ানসিব পাদ্মসুন্দারা কূলেন, সেকেন্ড সেক্রেটারি কুসুমা সারীবুনিয়ারিত, থার্ড সেক্রেটারি বুদসারা সাদাএনগ্রিত, রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সচিব ওয়ারাসান বিনতে ইসরাইল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানভিরাজ হাসান নিলয় ও চেম্বার সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুকসহ সচিবালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদী সুমিতমোর বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব হবে।তিনি থাই সরকারের প্রস্তাবিত এফটিএ বাস্তবায়নে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। সমুদ্র পথে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ স্থাপনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে থাই কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের অপেক্ষা রয়েছে জানিয়ে এই চুক্তি সম্পাদন হলে তা বাণিজ্য সহায়ক হবে বলে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করেন।
বর্তমানে থাইল্যান্ডে ভ্রমণেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য ১৪ দিনের পরিবর্তে ৭ দিন কোয়ারেন্টিন ঘোষণা করেছে সে দেশের সরকার যা করোনা পরিস্থিতি উন্নতির সাথে সাথে আরো হ্রাস পাবে।আগামী বছর থাই বাংলাদেশ বন্ধুত্বের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের অংশহিসেবে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে একটি ‘রোড শো’ আয়োজন করার পরিকল্পনার কথা জানান থাই রাষ্ট্রদূত। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০১৮ সালে অনেক ভালো অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের কারণে তা হ্রাস পায়।
২০১৯ সালে বাংলাদেশ হতে ৭৪.৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানির বিপরীতে ৯৭৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। তিনি এ বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে সে দেশে বিভিন্ন প্রদর্শনী, ট্রেড শো ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে র্যা নং বন্দরের সরাসরি সমুদ্র পথে জাহাজ চলাচল শুরুর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সময় ৩-৪ দিনে এবং পরিবহন ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়া থাইল্যান্ডের মৎস্য খাতে ৫০ হাজার বাংলাদেশী জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করা, সে দেশের শ্রম বাজারের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, চট্টগ্রাম হতে চিয়াংমাই, ব্যাংকক সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করা, জ্বালানী খাতে প্রস্তাবিত ২৫০ মিলিয়ন ডলারের থাই বিনিয়োগ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। বিজ্ঞপ্তি