লাগামহীন তরমুজের দাম রামগড়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, রামগড় :

খাগড়াছড়ির রামগড়ে হঠাৎ করেই লাগামহীন তরমুজের দাম। কিছুদিন পূর্বেও লকডাউনের কারণে  ক্রেতা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছিলো স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

কিন্তুু লকডাউন সীমিত হওয়ার পরক্ষণেই তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে নিয়ে যায় একশ্রেণীর মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা।

যে তরমুজের স্বাভাবিক দাম ৮০ টাকা, তা এখন ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ -৭০০ টাকায়। এই অসহনীয় গরমে  রোজাদারদের কাছে তরমুজের আকাশছোঁয়া চাহিদা থাকায় সেটিকে  পূঁজি করে রামগড়ে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা।

তরমুজের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

‘লকডাউনের’ কারণে

দেশের বেশির ভাগ তরমুজ উৎপাদন হওয়া বরগুনা,  ভোলা, পটুয়াখালী থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ আসতে পারছে না।

এজন্য দাম বেশি।চৈত্রের শুরুতেই প্রচ- গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা।

তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও  বেড়েছে।

এদিকে, তরমুজের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে  ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

রামগড়ের মহামুনি এলাকার  বাসিন্দা ইউনিসেফ পরিচালিত পাড়া কেন্দ্রের শিক্ষক সাহেনা আক্তার  ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে মানুষ । বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে না।

এর মধ্যে চলছে তাপদাহ। এ সুযোগে তরমুজের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

দারোগাপাড়া এলাকার রিকশাচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, শেষ কয়েক রমজানে প্রচুর গরম পড়ছে।ইফতারির সময় কিছু ফল দিয়ে ইফতারির করার ইচ্ছা থাকলেও কিনতে গিয়ে লাগামহীন দাম শুনে আর কেনা হয় না।তিনি আরো জানান, পাশের উপজেলা মাটিরাঙ্গা ও গুইমারাতে যে তরমুজ ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হয়,সেটি রামগড়ে ৩০০-৪০০ টাকা।

অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের যথাযথ মনিটরিং না থাকায়  সিন্ডিকেট করে রামগড়ে  তরমুজ ব্যবসায়ীরা মনমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছেন। প্রচুর সরবরাহ থাকলেও সংকট ও পরিবহন সমস্যার  কথা বলে তরমুজের দাম  বেশি নিচ্ছেন। অথচ কাঁচা মাল বা পণ্যবাহী মালামাল পরিবহনে সরকারী কোন বিধি নিষেধ না থাকলেও ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট  দেখাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগড় উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা  মু.মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট কর্মকতা থেকে খোঁজ নিয়ে খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবেন।