-
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
-
জরিমানা আদায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান :
রাউজানে ভ্রাম্যমাণ আদালত হালদা পড়ে অভিযান চালিয়ে ২লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ইট ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর দুপুরে রাউজানের উরকির চর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় হালদা নদীর পাড়ে অভিযান পরিচালনা করেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ। উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের পশ্চিম আবুর খীল এলাকায় হালদা নদীর তীরে শান্তি ব্রিকস, একই ইউনিয়নের হারপড়া এলাকায় সফি ব্রিকস, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া এলাকায় এ আলী ইটের ভাটা গড়ে উঠেছে। হালদা নদীর চর কাটা মাটি নৌযানে করে ইটের ভাটায় এনে ইট তৈরি করা হয়। হালদা নদীর চর কেটে ড্রেজার ও যান্ত্রিক নৌযানে করে হালদা নদী দিয়ে মাটি পরিবহন করায় হালদা ড্রেজার ও যান্ত্রিক নৌযানের আঘাতে ডলফিন ও মা মাছসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। মা মাছের প্রজনন হুমকির মুখে পড়েছে। ইটের ভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের জন্য খোলা শৌচাগার রয়েছে। খোলা শৌচাগারে শ্রমিকের মল ত্যাগ করছে। খোলা শৌচাগারের মল হালদা নদীর পানিতে গিয়ে পড়ে হালদা নদীর পানি দৃষিত হচ্ছে। হালদা পাড়ের ইট ভাটা নিয়ে পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসনের টনক নড়ে উঠে । গত ২৮ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোনায়েদ কবির সোহাগ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় রাউজানের পশ্চিম আবুর খীল শান্তি ইটের ভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইটের ভাটার মালিক আশা লতা কলেজের অধ্যাপক পরিতোষ বড়–য়ার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। ইটের ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। রাউজান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, হালদা নদীর ডলফিন ও মা মাছ রক্ষায় হালদা পাড়ের শান্তি ইটের ভাটায় অভিযান চালিয়ে ২লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও ইটের ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।