পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
নতুন পর্যটন স্পট মানিকপুরকে ঘিরে এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের উজ্জল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বান্দরবানের আলীকদমের পাহাড় থেকে শুরু হওয়া মাতামুহুরী নদী চলার পথে মানিকপুর পাহাড়ের পাদদেশে মিতালীতে মেতেছে। এই দর্শনীয় পর্যটন জোনকে সত্যিকার অর্থৈ ভ্রমন পিপাসু মানুষের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি সময়ে পর্যটন জোনের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন প্রকল্প অনুমোদন সাপেক্ষে পরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে মানিকপুর পর্যটন জোনকে ঢেলে সাজাতে কাজও শুরু করেছেন। এরই মধ্যে মানিকপুরের পর্যটন জোনটি নতুন রূপ পেতে শুরু করেছে।এদিকে ২২ ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে মানিকপুর পর্যটন জোনের উন্নয়ন কর্মকা- ও নতুন পর্যটন জোনের অপরূপ লোকেশন দেখতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী গুলশান আরা। এসময় সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.মাসুদুর রহমান মোল্লা, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের পরিবার সদস্যরা। এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক গুলশান আরা মানিকপুর পর্যটন জোনে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম।সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক মানিকপুর পর্যটন জোনের প্রতিটি লোকেশন ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। বর্তমানে পর্যটন জোনের আধুনিকায়নে কাজ শুরু করেছেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, মানিকপুরের পর্যটন জোনকে সত্যিকার অর্থে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই আলোকে জেলা প্রশাসনের তত্তাবধানে আমরা সম্প্রতি সময়ে পর্যটন জোনের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, পর্যটন জোনটি ঢেলে সাজানো হচ্ছে সরকারি জমিতে। সেইলক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রশাসনিক কাজও শুরু হয়েছে। আশাকরি এলাকাবাসি সবাই পর্যটন জোনের বিকাশে যার যার অবস্থান থেকে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।