রফিক উদ্দিন বাবুল, উখিয়া :
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকর্তৃক বিভিন্নভাবে মানসিক ও আর্থিক নির্যাতনের শিকার উখিয়ার বৃহত্তর মানুষ আজ নাগরিক অধিকার বঞ্চিত। স্থানীয়দের বসতভিটা, জমিজমা, ফলজ ও বনজ বাগানসহ চলাচলের পথে রোহিঙ্গারা জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে আশ্রয়দাতা গ্রামীণ জনপদের সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে। রোহিঙ্গাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে এনজিওরা তাদের পক্ষাবলম্বন করে থানায় ও আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে মানসিকভাবে হয়রানি করছে। গতকাল সকাল ৯টায় উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ থাইংখালী স্টেশনে মানববন্ধনোত্তর প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
উখিয়ার পালংখালীবাসী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওগুলোকে তাদের মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ অর্থ স্থানীয়দের উন্নয়নে ব্যয় করার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা প্রোগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে স্থানীয়দের ৭০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করতে হবে। নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তরিক হওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের উৎসাহিত করতে হবে এনজিওদের। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাকরির কোটায় সীমানা নির্ধারণ চিহ্নিত করতে হবে। এনজিওতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিটি দপ্তরে আবেদনের ব্যবস্থার বাধ্যবাধকতা থাকতে হবে। পালংখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য আধুনিক হাসপাতাল ও ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যামবুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। উপরোক্ত ৭ দফা দাবি যথাযথ বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে ব্যরিকেড সৃষ্টির মাধ্যমে এনজিওদের ক্যাম্প বিচ্ছিন্ন করে দাবি আদায় করা হবে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মনজুর, অধ্যাপক ছৈয়দ নুর, এডভোকেট আব্দুল মালেক, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সচিব আব্দুল গফুর নান্নু, সিনিয়র যুগ্মসচিব আনোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, তাহিদুল আকতার জুয়েল, নুরুল কবির রানা, এডভোকেট মিনাহুল হক, জসিম উদ্দিন, লোকমান হাকিম, মো. তারেক, মো. হারুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রিদুয়ানুল আজিজ।