রাউজান : আমাদের রাউজান প্রতিনিধি জানায়, রাউজানে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে ১৭ হাজার ৭শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ রাউজান থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ফকিরহাট বাজার ও মুন্সিরঘাটা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে মুখে মাস্ক না পরায় ও অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই, সড়ক পরিবেহন আইনে ১০ ব্যক্তির কাছ থেকে ১৩ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অপরদিকে গত ২৩ নভেম্বর দুপুরে রাউজান উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আবদুল্ল্্যাহ আল মাহমুদ রাউজান থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে দক্ষিন রাউজানের নোয়াপাড়ায় মাস্ক না পরায় ৪ হাজার ২শ টাকা জরিমানা আদায় করে। রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করেছে সরকার । সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাটবাজার ও সড়কে ও যানবাহনে করে চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলবে।
চকরিয়া : আমাদের চকরিয়া প্রতিনিধি জানায়, বৈশি^ক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৬ লাখ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে আবারও মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত রোববার প্রথমদিনে আদালত চকরিয়া পৌরশহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে। ওইসময় শহরে বিভিন্ন কাজে আগত অন্তত ১৩জন নাগরিকের মুখে মাস্ক না থাকায় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো.তানভীর হোসেন অর্থদন্ড করেছেন। এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌরশহরে এ অভিযান পরিচালনা করেন আদালত। অবশ্য ইতোপুর্বে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনার আলোকে করোনা মহামারী থেকে জনগনের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চকরিয়া উপজেলাবাসীর উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ। নির্দেশনা জারির পর থেকে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে কোন কাজের প্রয়োজনে কোন নাগরিক ঘরের বাইরে আসলে তাকে মাস্ক পরতে হবে। কাউকে মাস্ক ছাড়াও পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে। মুলত ওই নির্দেশনার পর গত রোববার থেকে অভিযান কার্যক্রম জোরদার করেন চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে উপজেলা প্রশাসন কাজ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয়ধাপ যেন মারাত্মক আকার ধারন করতে না পারে এবং সবার মুখে মাস্ক নিশ্চিত করতে প্রশাসনের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মাস্কবিহীন চলাচলের কারনে পথচারী, ১৩ জন ব্যক্তিকে ১৩ টি মামলায় ১৯শত টাকা অর্থদন্ড করে জরিমানা করার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এসময় চিরিঙ্গা বক্স রোডে রাস্তার উপর পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করার জন্য একটি ট্রাক এবং একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়। আগামীতেও কেউ মাস্ক পরিধান না করলে শাস্তি ও জরিমানা আরো কঠোরতর হবে এবং ভ্রাম্যমাণ আদলতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।