সংবাদদাতা, বান্দরবান :
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এসএসসি) বান্দরবান জেলায় এবারো ফলাফলে শীর্ষে বান্দরবান ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। ফলাফল প্রকাশের পর এ তথ্য জানা যায়। এ বছর ক্যান্ট পাবলিক থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১২৮ জন পরীক্ষার্থী এর মধ্যে পাশ করেছে ১২১ জন। পাশের হার শতকরা ৯৪.৫৩%। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮জন যা জেলার বিদ্যাপীঠ হিসেবে সর্বোচ্চ। তবে গতবছরের তুলনায় এবছর পাশের হার ও জিপিএ ৫ দুটিই কম। জিপিএ৫ এ দিতীয় অবস’ানে রয়েছে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ স্কুল থেকে এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮ জন।
পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০২ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ১৭৫ জন। এছাড়াও জেলা সদরের অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ১৬৭ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ১৩১ জন । জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ জন, কালেক্টরেট স্কুল থেকে অংশ নেয় ৬৯ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৫৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৩ জন। আল ফারম্নক ইনিস্টিটিউট থেকে অংশ নেয় ৫২ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৪০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন। ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ১১৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৭৬ জন। সাঙ্গু উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ১১৫ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৭৭ জন। বালাঘাটা বিলকিছ বেগম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ৯৮ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৭৪ জন। রেইচা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নেয় ৪০ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ২৭ জন।
এদিকে সদরের বাইরে লামা উপজেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১০জন এর মধ্যে কোয়ান্টাম থেকে ৫ জন চাম্বি স্কুল থেকে ৩ জন লামা বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১জন গজালিয়া স্কুল থেকে ১ জন। নাইড়্গ্যংছড়ি উপজেলা থেকে পেয়েছে ১০ জন এর মধ্যে বাইশারী স্কুল থেকে ২ জন আমির মাহমুদ স্কুল থেকে ৬জন ছালেহ আহাম্মদ স্কুল থেকে ২ জন এবং আলিকদম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১ জন।
বান্দরবান ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যড়্গ লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ দুটিই কমেছে। সায়েন্স থেকে ৮৮ জন পরীক্ষা দিয়েছে ৬ জন অকৃতকার্য হয়েছে। রসায়নে অকৃতকার্য হয়েছে।
ব্যবসায় শাখা থেকে ৪০ জন পরীক্ষা দিয়েছে ১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। স্কুলের পরীক্ষায় তারা সবাই ভাল করলেও বোর্ড পরীক্ষায় শুধু মাত্র রসায়নেই কেন ৬ জন অকৃতকার্য হল বিষয়টি আমরা দেখছি।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বান্দরবান জেলা থেকে ৪২৭৪ জন পরিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৩১৩২ জন। মোট জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৫৩ জন। এর মধ্যে সদরে ৩২ জন এবং অন্যান্য উপজেলায় ২১ জন। জেলার পাশের হার ৭৩.২৮%।