মো. আবু মনসুর, ফটিকছড়ি :
ফটিকছড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি চলছে। মা দুর্গাকে সাজাতে রাত দিন কাজ করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। এখন চলছে রঙের কাজ। আগামী ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত ২১ অক্টোবর বুধবার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমণধ্বনি শুনতে পাবেন।এবার দেবী দুর্গা তার ভক্তদের মাঝে আসবেন দোলায় চড়ে, ফিরবেন গজে। নির্বিঘেœ এ উৎসব সম্পন্ন করতে মন্দিরভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক সমন্বয় সভা করেছে প্রশাসন।ফটিকছড়ি উপজেলায় এবার ১শ১৩টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।সরেজমিন কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, দিন-রাত মিলে চলছে রঙের প্রলেপ ও অঙ্গসজ্জার কাজ। দেবীর মর্তে আগমনের আগেই শেষ করতে হবে এ কাজ। তাই কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। কারিগররা বলেন,রঙের কাজ আপাতত শেষ। এখন চোখের কাজ করছি। এখন আমাদের প্রচুর কাজের চাপ। আমরা রাত ১-২ টা পর্যন্ত কাজ করছি। ঠাকুরকে গয়নাগাটি, চুল এগুলো পড়ানো শেষ হলেই কাজ শেষ।পূজা উদযাপন পরিষদ ফটিকছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি মাস্টার রতন কান্তি চৌধুরী বলেন, সবগুলো মন্ডপে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এখন চলছে ডেকোরেশন বা আলোকসজ্জার কাজ।
তিনি বলেন,ফটিকছড়ি উপজেলায় ১শ১৩টি মন্ডপে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় পুজা কমিটির সদস্যদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া আমাদের উপজেলা কমিটির একটি মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখবে। আমরা বিশ্বাস করি প্রতিবারের মত এবারেও নির্বিঘেœ শারদীয় দুর্গা উৎসব সম্পন্ন হবে।এছাড়া দুর্গা উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল)।
তিনি বলেন, প্রতিটি মন্ডপে আনসার ও গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি আমাদের আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।এছাড়া ইউনিয়নভিত্তিক আমাদের মোবাইল টিম মাঠে থাকবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বঘেœ করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি এ উৎসবটা খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব আমরা।