শ্বশুরবাড়িতে জামাই খুন
নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া
পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন গ্রামে বেড়াতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে জামাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সুমন খুনের ঘটনায় শাশুড়ি ও স্ত্রীকে গত রোববার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে প্রবাসীর ভাই ওমর ফারম্নক বাদি হয়ে পটিয়া থানায় প্রবাসীর স্ত্রী আরিফা আকতার, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, স্ত্রীর বড় বোন শাহীনা আকতার ও শাহীনার জামাই মো. হোসেনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় বেড়াতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে সৌদি প্রবাসী সুমন ছুরিকাঘাতে খুন হয়। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পলস্নী চিকিৎসক মো. আলমগীরের কাছে নিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে আহত প্রবাসীর পেটে পলস্নী চিকিৎসক আলমগীর একাধিক সেলাই করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। রক্তড়্গরণ বন্ধ না হলে পরবর্তীতে তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন গত শনিবার মারা যায়।
বাদির মামলার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিনিনিহারা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সুমনের সঙ্গে পাশ্ববর্তী ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দড়্গিণ হরিণখাইন গ্রামের ফরিদুল আলমের মেয়ে আরিফা আকতারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সৌদি প্রবাসী সুমন দেশে ফিরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী সুমন খুন হয়। শাশুড়ির ঘর থেকে পুলিশ রক্তমাখা চাকু উদ্ধার করেছে। ছুরিকাঘাতে খুনের পর প্রবাসী সুমনকে প্রথমে পলস্নী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। ওই চিকিৎসক তড়িগড়ি করে সেলাই করে দেন। পরে চমেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মামলার বাদি ওমর ফারম্নক জানিয়েছেন, তার ভাই সুমনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় শাশুড়ি, স্ত্রীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রবাসী খুনের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। প্রবাসীর শাশুড়ি ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শাশুড়ির ঘর থেকে খুনের কাজে ব্যবহার করা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। পলস্নী চিকিৎসকের কোন অবহেলা ছিল কিনা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে।