সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া »
পটিয়ায় বাণিজ্যে করে উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠেছে। ২৫ জুন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের স্বাক্ষরিত এক সঙ্গে পটিয়ার ৩টি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্য উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নাজমুল সাকের সিদ্দিকী, যুগ্ম আহবায়ক মো. সেলিম, মো. আবদুল্লাহ আল নোমান, রবিউল হোসেন ইবলু, তানভীর হোসেন, মো. জানে আলম, ইনতিসার ইবনে সেলিম ফাহিম, এম শওকত হোসেন, আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, মিনহাজুল আবেদীন মুন্না, মোবারক হোসেন চৌধুরী রিপন ও এ্যনজয় দাশ।
পটিয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের আহবায়ক অজয় শীল, যুগ্ম আহবায়ক মো. জোবায়েত হোসেন, মোবাশ্বের আলম, মো. সাইদুল আলম তানিম, আতিকুর রহমান আলভী, আদনান সাইয়্যিদ অনিক এবং পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয়েছে গিয়াস উদ্দিন সাব্বিরকে। শুক্রবার কমিটি ঘোষণার পর পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে স্ট্যার্টাস দিয়েছেন। পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর গোফরান রানা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের কমিটির উদ্দেশ্যে তার ফেইসবুকে লিখেছেন ‘তোমাদের টাকার ব্যবসার কাছে হেরে গেল ত্যাগীরা, মেধাবীরা। অছাত্ররাই নতুন কমিটিতে স্থান পেল। তোমাদের কারণেই ছাত্রলীগ মেধাশূন্য, নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়বে একদিন। এমনকি জেলা ছাত্রলীগ ছাত্রনেতা গোফরান রানার কাছ থেকে টাকাও চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন। জানা গেছে, ২০১৪ সালে তৎকালীন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সালাউদ্দিন সাকিব ও যুগ্ম আহবায়ক মো. নুরুল আমিন স্বাক্ষরিত পটিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়। এই কমিটির পরেই স্থানীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী একটি পাল্টা কমিটি ঘোষনা করেন। এতে পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় কোরবান আলী ও সাধারণ সম্পাদক করা মোহাম্মদ সোহেলকে। তাছাড়া পৌরসভা ছাত্রলীগে পাল্টা কমিটিতে শরাফত আহমদ শাহীন সভাপতি (ব্যাংকার), সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ তানভীর (ব্যবসায়ী) এবং পটিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগে নাজমুল সাকের ছিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের (ব্যাংকে কর্মরত) নাম ঘোষনা করা হয়। তাদের কমিটি ২০১৮ সালের ২৩ মে জেলা ছাত্রলীগ ৩টি কমিটি এক সঙ্গে বিলুপ্ত করে। এরপর আর কোন কমিটি করা হয়নি। এতদিন পটিয়া উপজেলায় ছাত্রলীগের কোন কর্মকান্ড ছিল না। ২০১৩ সালে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল মালেক চৌধুরী জনিকে দলীয় কার্যালয়ে খুন করার পর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তারেকুর রহমান পটিয়া উপজেলার নতুন কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বাণিজ্য করে পটিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা দিয়েছেন। এসবের সঙ্গে তারেক জড়িত নয় বলে দাবি করেন। বাণিজ্যের কারণে পটিয়ার অনেক ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জানিয়েছেন, বাণিজ্য করে পটিয়া উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। যারা তদবির করে তালিকায় নাম আনতে পারেনি তারাই বাণিজ্যের কথা বলে অপপ্রচার করছে।