সুফল পাবে লক্ষাধিক মানুষ
এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় জনপদে এলজিইডির অর্থায়নে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দে চার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক শুরু হয়েছে। উপকুলের গ্রামীণ জনপদে যোগাযোগ অন্যতম মাধ্যম বদরখালী-পশ্চিম বড় ভেওলা-ঢেমুশিয়া কোনাখালী বাগগুজারা অংশের সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় অবশেষে সুফল পেতে যাচ্ছে এই অঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার ১৭ নভেম্বর দুপুরে সড়কের বদরখালী অংশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া- পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান ও বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ নুরে হোছাইন আরিফ, আনম হেফাজ সিকদার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চকরিয়া ডেভেলাপমেন্টের মালিক ফরিদুল আলম, পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এলজিইডি চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল বলেন, চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অন্যতম গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ মাধ্যম বদরখালী-পশ্চিম বড় ভেওলা- ঢেমুশিয়া কোনাখালী বাগগুজারা অংশের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। এ অবস্থার কারণে চলাচলের ক্ষেত্রে উপকুলের অন্তত চারটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তিনি বলেন, জনদুর্ভোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অংশে চার কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে সড়ক নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করেন। এরই আলোকে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দে সড়কের চার কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নকাজ আনুষ্ঠানিক শুরু করা হয়েছে। নির্মাণকাজ যথাসময়ে শেষ হলে চলাচলের ক্ষেত্রে সুফল পাবে এই অঞ্চলের লক্ষাধিক বাসিন্দা।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ জাফর আলম এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অগ্রগতি-উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিটি সেক্টরের মতো ব্যবসাখাতের অগ্রগতিতেও সরকার সবধরণের উদ্যোগ নিতে বদ্ধপরিকর। কারণ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্যবসায়ী সমাজ গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখছেন। সেইজন্য সরকার নতুন নতুন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে ব্যবসায়ী সমাজকে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, চকরিয়া- পেকুয়ার জনগনের কল্যাণে ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সবধরনের কাজ করতে চাই। সেইলক্ষ্যে আগামীতে চকরিয়া- পেকুয়ার অবহেলিত প্রত্যেক জনপদকে টেকসই ও পরিকল্পিত উন্নয়নে সাজানো হচ্ছে। এভাবে আগামী পাঁচবছরের মধ্যে চকরিয়া- পেকুয়া উপজেলা দেশের মধ্যে মডেল জনপদ।