ফুলছড়ির কালু সিকদারঘোনা
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়িস্থ কালু সিকদারঘোনার চিংড়িজমি জবরদখলে নিতে পাশের ইসলামপুর এলাকার একটি অস্ত্রধারী দখলবাজ চক্র প্রতিনিয়ত মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘোনার অংশিদার মালিক ও চাষিদের মাঝে উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোপুর্বেও জবরদখল চক্রটি ঘোনায় হামলা চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুট করে তা-ব চালিয়ে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এ ঘটনায় ঘোনার অংশিদার আক্তার আহমদ বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন।মামলায় কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর নতুন অফিস এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মমতাজ আহমদ, মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে জাফর আলম, মমতাজের ছেলে শাহজাহান, মৃত আবদু ছবুরের ছেলে মানিক, মনছুর আলমের ছেলে শাহাব উদ্দিন, মৃত আবদুর রহিমের ছেলে ইউছুপ জালাল, মৃত নুরুল আমিনের ছেলে কামাল হোসেন, আবদুস শুক্কুরের ছেলে লাল মিন্টু, মৃত ফজল করিমের ছেলে করিম, শাহ আলমের ছেলে জসিম উদ্দিন, নুরুল কবিরের ছেলে হুমায়ুন কবির, সুলতান আহমদের ছেলে নুরুল আলম, মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে জয়নাল আবেদিনসহ ১৪জনকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদি ফুলছড়ি গ্রামের মৃত ফজল করিমের ছেলে আক্তার আহমদ। চকরিয়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে মামলার বাদি আক্তার আহমদ বলেন, তাঁর বাবা ফজল করিম চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি মৌজায় ১৯৭৭-৭৮ সালের ১৬৩১ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে ১একর ৪০ শতক জমির মালিকানা পেয়েছেন। বিএস ১৮৮৩ দাগের উল্লেখিত জমির বিপরীতে ৭০৯ নম্বর জমাভাগ খতিয়ানও সৃজিত হয়েছে। তাঁর বাবার মতো ১৯৭৭-৭৮ সালে একই এলাকার আরো দশটি পরিবার সরকার থেকে বন্দোবস্তিমুলে ফুলছড়ি মৌজায় সর্বমোট ১৩ একর ৯৩শতক জমি পেয়েছেন। তৎমধ্যে ১৬৩০ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত কালু মিয়ার ছেলে নুরুল আলম, ১৬৩৩ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত সোলতান আহমদের ছেলে কালা মিয়া, ১৬৩৫ নং বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত আলী মদনের ছেলে মুহাম্মদ কালু, ১৯৭৯-৮০ সালের ০৭ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত ফজল করিমের ছেলে হাবিব উল্লাহ, ১৬৩১ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত আলীমউদ্দিনের ছেলে ফজল করিম, ১৫০১ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে ফজল করিমের ছেলে ছাবের আহমদ, ১৬২৯ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত মুহাম্মদ কালুর ছেলে নুরুল ইসলাম, ১৬৩৬ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত শফিউল আলমের ছেলে মোবারক হোসেন, ১৬০৬ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত ফজল করিমের ছেলে আক্তার আহমদ, ১৬৩৫ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু সৈয়দ ও ১৫৮৮ নম্বর বন্দোবস্তি মামলামুলে মৃত নুর হোছনের ছেলে চেহের মিয়া উল্লেখিত জমির মালিক। অভিযুক্ত আসামিরা ইতোপুর্বে আমাদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা তাদের কথায় চাঁদা না দিলে সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অভিযুক্তরা চিংড়িঘেরে হামলা চালায়।
তা-বে আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ঘটনায় কালু সিকদারঘোনার পক্ষে ১৪জনকে আসামি করে চকরিয়া উপজেলা জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত দখলবাজ চক্রের সদস্যরা বর্তমানে প্রতিনিয়ত আমাদের চিংড়িজমিতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। এ অবস্থায় কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার এবং প্রশাসনের কাছে এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারপুর্বক বেঁেচ থাকার একমাত্র অবলম্বনটুকু রক্ষায় জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলো।