নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সারা দেশের ন্যায় চন্দনাইশে লকডাউনের শর্তাবলি প্রতিপালনে কঠোর নজরদারি করছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন।
গত শনিবার কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় চন্দনাইশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সরকারি আদেশ অমান্য করা ও লকডাউনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে ৫ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ওষুধের মূল্য বেশি নেয়ায় ভোক্তা অধিকার আইনে হ্যাপি ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া সিএনজি ট্যাক্সিচালক মো. সোহেলকে ১’শ, রিক্সাচালক মানিককে ৫০, মাস্ক ব্যবহার না করায় পথচারী সোহেলকে ৫০ টাকাসহ ৫ হাজার ২’শ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এসময় প্রায় শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। চন্দনাইশ থানার এসআই উপন বড়ুয়া, এএসআই বেলালসহ একদল পুলিশ অভিযানে সহযোগিতা করে। অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিন বলেন, সরকার করোনার সংক্রমণ কমানোর জন্যই লকডাউন দিয়েছে। সঠিকভাবে লকডাউন পালন করলে করোনা সংক্রমণ কমে যাবে। লকডাউনের শর্তাবলি না মেনে বিনা প্রয়োজনে যারা ঘুরছে এবং যারা মাস্কবিহীন চলাফেরা করছে তাদের জরিমানা করার পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে এবং মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া একজন ক্রেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওষুধের মূল্য বেশি নেয়ায় একটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তিনি ১৮ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা না লাগালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করবেন বলে জানান। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ৮টি বিধিনিষেধ মেনে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে যে যার অবস্থানে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কাজ করার আহবান জানান। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন কার্যকরে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।