রাজু কুমার দে, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ে পাকা সড়ক ধসে খালে পড়ে যাওয়ায় দুর্ভেগে পড়েছে ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে পাকা সড়কটি ধসে খালে পড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের কাজির হাট-রামমন্ডল সড়কটিতে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। স্থানীয়রা জানান, খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের কাজির হাট-রামমন্ডল পাকা সড়কটি দিয়ে তিন ইউনিয়নের ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। গত দেড় বছর আগে অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে ফাটল দেখা যায় ৩শ মিটার অংশে। ফাটল ধরা অংশটি আর মেরামত না করায় এক বছর আগেই খালে ধসে পড়েছে সড়কটি। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহালেও সড়কটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের সড়কটির খাল পাড়ের ৩শ মিটার অংশের পুরোটাই চলে গেছে পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাহেরখালী খালের পেটে। আগে সবসময় এই রাস্তায় মিনি পিকআপ, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিক্সা, রিকসা চললেও এখন বাই সাইকেল চালাতেও কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই সড়কে নিয়মিত সিএনজি চালক রহিম জানান, সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। আমাদের আয়ের অন্যতম উৎস ছিলো এই সড়কটি। কিন্তু সড়কটি খালে বিলীন হওয়ার আমাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কাজিরহাট-রামমন্ডল সড়কটি উত্তরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পুর্বে মায়ানী ভোরের বাজার থেকে দক্ষিণে হাইতকান্দি ইউনিয়নের বাপনা পুকুর গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। এই এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথাক্রমে মাজেদা হক উচ্চ বিদ্যালয়, মাজেদা হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজিরহাট মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরও যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি। পাশে সাহেরখালী খাল খনন করলে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে পুর্ব পাশে রাস্তা ঘেঁষে মাটি কাটায় পাকা রাস্তাটিতে ফাটল ধরে। পরে ফাটল ধরা অংশ মেরামত না করায় একই বছরের জুলাই মাসে মাঝামাঝিতে পুরো সড়কটি খালে ধসে পড়ে।
কাজিরহাট-রামমন্ডল সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, কোন নকশা ছাড়া অপরিকল্পিত খাল খননের কারণে এই সড়কটি খালে ভেঙে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে উপজেলার হাইতকান্দি, মায়ানী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৫ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের নিত্য যাতায়াত করে থাকে। খৈয়াছড়া ইউনিয় পরিষদের সদস্য সেলিম উদ্দিন বলেন, কাজিরহাট-রামমন্ডল সড়কটি খালে ধসে পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
খৈয়াছড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কাজিরহাট- রামমন্ডল সড়কটি বিষয়ে ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছেন। এত বড় রাস্তার কাজ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। উপজেলার আগামী সমন¦য় সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হবে।