কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
কক্সবাজার শিক্ষাপ্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দে অবশেষে উন্নয়নকাজ শুরুর মাধ্যমে নতুন একাডেমিক ভবনের আলোর মুখ দেখছেন চকরিয়া উপজেলার বরইতলীস্থ অন্যতম দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসা। কার্যাদেশ অনুযায়ী চলতিবছরের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ সমাপ্তির কথা থাকলেও করোনাকালের নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে যথাসময়ে কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য লায়ন কমরউদ্দিন আহমদের সার্বিক প্রচেষ্টায় চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সহযোগিতায় দুইমাস আগে পুরোদমে শুরু হয়েছে মাদ্রাসার নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ। বর্তমানে ভবন নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এদিকে দীর্ঘবছর পর হলেও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি লায়ন কমরউদ্দিন আহমদের প্রচেষ্টায় নতুন একাডেমিক ভবনটি পেতে যাচ্ছে পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসা। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ। ওইসময় মাদ্রাসা সুপার আবু সাঈদ আনসারী, পরিচালনা কমিটির সদস্য, মাদরাসার শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে লায়ন কমরউদ্দিন আহমদ বলেন, নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণে কক্সবাজার শিক্ষাপ্রকৌশল বিভাগ প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। বর্তমানে ভবন নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ সুত্র জানায়, চলতি অর্থবছর চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন জনপদে ৬টি মাদ্রাসা ও ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চার তলাবিশিষ্ট আধুনিকমানের নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এসব প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কর্মকা- ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসা ছাড়াও একইভাবে কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী তমিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, ডুলাহাজারা আরবিয়া মারুফিয়া দাখিল মাদ্রাসা, কাকারা তাজুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, ঢেমুশিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ ৬টি মাদ্রাসা এবং চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার আরো ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও চার তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। অপরদিকে আরো ১২টি মাদ্রাসা ও স্কুলের উর্ধমূখী সম্প্রসারণ এবং সেকে-ারি স্কুল ইমপ্লিমেন্টেশন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ চলছে।