Blog Page 2757

‘শকুন্তলা দেবী’ মুক্তি পাচ্ছে অনলাইনে

সুপ্রভাত ডেস্ক :
অমিতাভ-আয়ুষ্মানের ‘গুলাবো সিতাবো’র পর এবার বিদ্যা বালান অভিনীত ‘শকুন্তলা দেবী’ও মুক্তি পাচ্ছে অনলাইন প্লাটফর্মে। বৃহস্পতিবারই ‘গুলাবো সিতাবো’র ওটিটি প্লাটফর্মে রিলিজ হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। অন্যদিকে, এদিনই আবার ‘শকুন্তলা দেবী’র বায়োপিকের নির্মাতারাও আভাস দিয়েছিলেন যে এই ছবি অনলাইনে মুক্তি পেতে পারে। অবশেষে অফিশিয়ালি জানানো হল যে ‘গুলাবো সিতাবো’র মতোই বিদ্যার ‘শকুন্তলা দেবী’রও ২০০টি দেশজুড়ে প্রিমিয়ার হতে চলেছে আমাজন প্রাইম ভিডিওর হাত ধরে। যদিও মুক্তির দিনক্ষণ এখনও জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, মানব কম্পিউটার শকুন্তলা দেবীর ভূমিকায় রয়েছেন বিদ্যা বালান। তার স্বামী পরিতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত এবং শকুন্তলা দেবীর মেয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে ‘দঙ্গল’ খ্যাত সানায়া মালহোত্রাকে।
উল্লেখ্য, ‘গুলাবো সিতাবো’, ‘শকুন্তলা দেবী’র পাশাপাশি অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘লক্ষ্মী বম্ব’, রাজকুমার রাও অভিনীত ছবি ‘লুডো’, জাহ্নবী কাপুর অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’-সহ আরও বেশ কিছু ছবিরও ওয়েব প্লাটফর্মে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। আর বহু প্রতীক্ষীত এই হিন্দি সিনেমাগুলির মুক্তি ওয়েব প্লাটফর্মে হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রযোজক-পরিচালকদের উদ্দেশে এক বিবৃতি জারি করেছে আইনক্স। সুজিত সরকার পরিচালিত ‘গুলাবো সিতাবো’ই হোক, বিদ্যা বালানের ‘শকুন্তলা দেবী’ই হোক কিংবা অক্ষয় কুমারের ‘লক্ষ্মী বম্ব’, জাহ্নবীর ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’, এই প্রত্যেকটি ছবি ঘোষণার পর থেকেই সিনেপ্রেমীদের মনে আলাদা প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

মুক্তি পেলো ‘ঘুমকেতু’র টিজার

সুপ্রভাত ডেস্ক :
গত সপ্তাহেই শোনা গিয়েছিল এক স্ট্রাগলিং লেখকের গল্প নিয়ে জি ফাইফ প্রিমিয়ারে আসছেন ‘ঘুমকেতু’ ওরফে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। নওয়াজের সঙ্গে ছবির বিশেষ একটি চরিত্রে দেখা যাবে বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকেও। নওয়াজের সঙ্গে একই ফ্রেমে অনুরাগ কাশ্যপ, এই সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বিশেষ কৌতূহল যে থাকবেই তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। সিনেপ্রেমীদের সেই উত্তেজনার পারদ উসকে দিয়েই এবার প্রকাশ্যে এল ‘ঘুমকেতু’র প্রথম ঝলক।
আদ্যোপান্ত কমেডি ঘরানার ছবি, ১ মিনিটের এই টিজারেই স্পষ্ট তার ইঙ্গিত। ছাপোষা, সহজ-সরল এক অনভিজ্ঞ লেখকের গল্প নিয়ে ‘ঘুমকেতু’র গল্প। বলিউডের নামকরা চিত্রনাট্যকার হওয়ায় আশায় বুক বেঁধে যে নিজের গ্রাম থেকে মুম্বইতে পাড়ি দিয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রযোজকদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তার গল্প বিক্রি করার আপ্রাণ চেষ্টা। এদিকে স্ট্রাগলিং স্ক্রিপ্ট রাইটারের নামে আগে থেকেই থানায় মিসিং কেস ফাইল হয়ে রয়েছে। পুলিশও ‘ঘুমকেতু’র খোঁজে করছে। ঘটনাচক্রে সিনেমার জন্যে তারই লেখা এক গল্প চুরি যায়। যার জেরে তাকে দ্বারস্থ হতে হয় পুলিশের। এরপর? বাকি গল্প দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে জি ফাইফ প্রিমিয়ারের পর্দায়।
উঠতি লেখকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা যাবে অনুরাগ কাশ্যপকে। তার চরিত্রটিকেও কমেডির ছোঁয়া রাখা হয়েছে। কাজের ব্যাপারে যিনি কিনা বেশ উদাসীন। অনুরাগের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয় করার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নওয়াজ জানিয়েছেন, একসঙ্গে স্ক্রিনস্পেস শেয়ার করে তার বেশ ভালই লেগেছে। কারণ, অনুরাগ সাধারণত ক্যামেরার পিছনেই থাকেন। উল্লেখ্য, অনুরাগের ছবিতে নওয়াজ আগে অভিনয়ও করেছেন। সেই পরিচালকের সঙ্গেই স্ক্রিন শেয়ার করা একটা আলাদা অনুভূতি! এই লকডাউন পর্বে ছবিটি যে সবাই উপভোগ করবেন, তা নিয়েও একপ্রকার নিশ্চিত নওয়াজ।
‘ঘুমকেতু’তে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও অনুরাগ কাশ্যপ ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইলা অরুণ, রঘুবীর যাদব, স্বানন্দ কিরকিরে এবং রাগিনী খান্না। আগামী ২২ মে জি ফাইভের পর্দায় প্রিমিয়ার হবে। টিজারে ঝলক মিলল অমিতাভ বচ্চন, রণবীর সিং, সোনাক্ষী সিনহারও। ‘ঘুমকেতু’ পরিচালনা করেছেন পুষ্পেন্দ্র নাথ মিশ্র এবং প্রযোজনা করেছেন ফ্যান্টম ফিল্মস এবং সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

সৌরভের বাড়িতে কাটানো সন্ধ্যার স্মৃতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়লেন শচীন

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ভারতীয় ক্রিকেটেও দুই ব্যাটিং গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাইশ গজের পার্টনারশিপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু শচীন-সৌরভের মাঠের বাইরের পার্টনারশিপও যে সমান চমকপ্রদ, সেকথাও অজানা নয় অনুরাগীদের। অনুর্ধ্ব-১৫ বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই একসঙ্গে পথ চলা শুরু দুই কিংবদন্তির। যা শেষ হয়েছে ওয়ান-ডে ক্রিকেটে ১৭৬ পার্টনারশিপে ৮ হাজার ২২৭ রান সংগ্রহ করে।
ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার হিসেবে বেশ সক্রিয় দু’জনেই। মাঝেমধ্যেই কোনও না কোনও কারণে একে অপরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দু’জনে। বৃহস্পতিবার স্মৃতির সরণি বেয়ে টেন্ডুলকার ফিরে গেলেন কেরিয়ারের প্রায় শুরুর দিনগুলোয়। যখন বিশ্ব ক্রিকেট ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছে শচীন-সৌরভের পার্টনারশিপের সঙ্গে। সেই সময় কলকাতা সফরকালে এক সন্ধ্যায় বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে ডিনারে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ছোটবাবু। একদা সতীর্থের বাড়িতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেই সন্ধ্যার একটি দুর্লভ ছবি এদিন শচীন শেয়ার করলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, ডিনার টেবিলে একইসঙ্গে বসে রাত্রকালীন খাবার খেতে ব্যস্ত শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর পিছনে দাঁড়িয়ে গোটা ব্যাপারটা তদারকি করছেন সৌরভের মা নিরুপা পঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন বাড়ির অন্যান্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি পোস্ট করে লিটল মাস্টার লেখেন, ‘দাদির বাড়িতে কাটানো একটা মজার সন্ধে ফিরে দেখা। ঊষ্ণ আতিথেয়তার সঙ্গে সুস্বাদু সব খাবার। আশা করি তোমার মা ভালো আছেন। উনাকে আমার প্রণাম।’ স্বাভাবিকভাবেই ছোটবাবুর এই পোস্ট বেশ মন কেড়েছে অনুরাগীদের।
দিনদু’য়েক আগে আইসিসি’র একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে মাঠ এবং মাঠের বাইরে দুই বন্ধুর দুর্দান্ত বোঝাপড়ার সাক্ষী থাকে নেটাগরিকরা। ক্রিকেটের ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে সবচেয়ে সফল জুটির পরিসংখ্যান তুলে ধরে মঙ্গলবার একটি টুইট করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। বিদেশের মাঠে কোনও এক ম্যাচে শচীন এবং সৌরভের পার্টনারশিপের একটি মুহূর্তের ছবি মঙ্গলবার নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে আইসিসি। ক্যাপশন হিসেবে তারা লেখে, ‘একদিনের ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। পার্টনারশিপ-১৭৬, রান-৮২২৭, গড়- ৪৭.৫৫। একদিনের ক্রিকেটে আর অন্য কোনও জুটি ৬ হাজার রানের গন্ডিও টপকাতে পারেনি।’
আইসিসি’র টুইটের পালটা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে শচীন বলেন, ‘অনেক স্মৃতি ভিড় করে আসছে দাদি।’ একইসঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে একটা চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নও ছুঁড়ে দেন তিনি। সৌরভকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার কী মনে হয়, বৃত্তের বাইরে ৪ জন ফিল্ডার এবং দু’টো নতুন বলে খেলা হলে আমরা জুটিতে আরও কত রান যোগ করতে পারতাম।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন আশরাফুল!

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
সবাই বলছেন, জীবনে এর চেয়ে খারাপ আর কঠিন সময় আর আসেনি। প্রাণঘাতী করোনা এখন মূর্তিমান আতঙ্ক। সবার মনেই করোনায় আক্রান্ত হবার শঙ্কা, মৃত্যুভয়। অনিশ্চিত জীবন। শারীরিক, মানসিক আর আর্থিক-নানা আনুষাঙ্গিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সবাই মন মরা। হাসতে ভুলে যাওয়া অবস্থা।
ব্যক্তি জীবন, সামজিক, কর্মজীবন- সব স্থবির। প্রাণচাঞ্চল্য হারিয়ে গেছে। নাগরিক জীবন থেমে আছে। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, রেস্টুরেন্ট, খেলার মাঠ, পার্ক, সিনেমা হল, নাট্যমঞ্চ সব বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে সবাই ঘরে, একরকম অস্বাভাবিক অবস্থা চারপাশে।
মোদ্দা কথা, প্রতিটি মানুষের জীবন থেকে খুশির ঝিলিক হারিয়ে গেছে। এর চেয়ে খারাপ সময় আর কি হতে পারে? সবাই যখন এমন চিন্তা করছেন, এমনটা ভাবছেন, ঠিক তখন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের ভাবনা ভিন্ন।
এ নন্দিত-নিন্দিত ক্রিকেটার মনে করেন, করোনার এই সময়টার চেয়েও খারাপ সময় তার জীবনে এসেছিল। কবে কখন ঐ খারাপ সময় এসেছিল আশরাফুলের জীবনে?
মাঠে আলো ছড়ানো মেধাবী ক্রিকেটার, দেশের ক্রিকেটের সব সময়ের অন্যতম সেরা উইলোবাজ টেস্ট অভিষেকে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান আশরাফুল ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তার মনে হয়, ঐ নিষিদ্ধ হবার পরের সময়টা ছিল এখনকার করোনাকালীন সময়ের চেয়েও খারাপ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রসিদ্ধ ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভ ‘নট আউট নোমান’-এ কথা বলতে এসে আশরাফুল জানালেন, সেই সময়টা এতটাই খারাপ, কঠিন ও দুর্বিষহ ছিল যে এক সময় তার মনে আত্মহত্যার চিন্তাও চলে এসেছিল।
তার ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিং কেলেংকারি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। রাজ্যের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন আশরাফুল। নিজেও শুরু থেকে অপরাধ স্বীকার করে দেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্ষমাও চেয়েছেন। ঐ সময়ের নানা ঘটনা উপস্থাপন করেছেন।
তবে কাল রাতে নতুন কথা জানালেন আশরাফুল। প্রথমবারের মত তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো তিনি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রমাণের পর যখন নিষিদ্ধ হলেন, তখন তার জীবনের প্রতি আর কোন মোহ ছিল না। মনে হচ্ছিল, সবার চোখে আমি এখন চরম অপরাধী। এ জীবন থাকা আর না থাকা সমান।
কাল বৃহস্পতিবার রাতে ঐ কঠিন সময়ের প্রসঙ্গ টেনে আশরাফুল বলে ওঠেন, ‘একজন আমাকে বলছিলেন, এখন করোনার ভেতরে আমরা সবাই ঘরবন্দী। আপনার কেমন লাগছে? আমি বললাম আমার খুব আহামরি খারাপ লাগছে না। তিনি একটু অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, বলেন কি এমন অস্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে খারাপ আর কি হতে পারে? এতেও আপনার খুব খারাপ লাগছে না? আমি বললাম- ভাইরে, আমি আমার জীবনে করোনার চেয়েও কঠিন সময় কাটিয়েছি।’
‘যখন ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত হয়ে আমাকে নিষিদ্ধ করা হলো, আমি নিজে ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিং করার কথা স্বীকার করে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলাম, তখনকার অবস্থা ছিল এর চেয়ে খারাপ’-যোগ করেন আশরাফুল।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো মনে আছে কি মানসিক উৎপীড়ন ছিল সেটা। সবাই জানছে আমি অপরাধ করেছি। অন্যায় কাজ করেছি। ম্যাচ পাতিয়েছি। খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি তখন সবার চোখে অপরাধী। সবাই বাঁকা চোখে দেখতে শুরু করলো। অনেক কাছের মানুষও দূরে সরে গেলেন। প্রিয়জনদের কেউ কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আমার প্রতিনিয়ত মনে হতো এরকম একটা অবস্থায় আমি কি করে বেঁচে থাকবো? আমি কি করে জনসম্মুখে মুখ দেখাবো? আমার পরিবারের কাছে কি বলবো? তাদের কি অবস্থা হবে? সামাজিকভাবে আমি ও আমার পরিবার যে হেয় প্রতিপন্ন হবে, এটা ঢাকবো কি করে?’
এত সব চাপ মাথায় নিতে পারছিলেন না আশরাফুল। বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম আন্তর্জাতিক সুপারস্টার বলেন, ‘তখন এক সময় আমার মনে হয়েছিল এ জীবন আর রেখে কি লাভ, তার চেয়ে বরং আত্মহত্যা করি। তারপর আমি হজে যাই। হজে গিয়ে আমার মন মানসিকতা পরিবর্তন ঘটে।’
খবর : জাগোনিউজ’র।

ফলের বাজার চড়া

রুমন ভট্টাচার্য :
রমজানে চাহিদা বাড়ে কলা, মাল্টা, আপেল ও আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফলের। সেই সাথে করোনাতে বেড়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের চাহিদা। রোজা ও করোনার বাড়তি চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশি-বিদেশি প্রায় সবরকম ফলের দাম। দেশীয় কোনো কোনো ফলের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তবে বাজারে ফলের যোগানে কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার নগরীর চকবাজার এলাকার কয়েকটি ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাংলা কলা প্রতিডজন আকারভেদে ১২০-১৫০ টাকা, সাগর কলার ডজন ৫০-৭০ টাকা, চাপা কলা ৪০-৫০ টাকা, আঙ্গুর (লাল) প্রতিকেজি ৫০০ টাকা, আনার কেজি ৪৫০ টাকা, কমলা প্রতিডজন ৪০০ টাকা, সাদা আঙ্গুর প্রতিকেজি ৩০০ টাকা, সাদা তরমুজ আকারভেদে প্রতিপিস ১৬০-৫০০ টাকা, কালো তরমুজ প্রতিকেজি ৭০ টাকা, বেল ১ জোড়া ৮০-১০০ টাকা, মাল্টা কেজি ১৮০ টাকা, রেড গোল্ডেন আপেল কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সবুজ আপেল কেজি ১৬০ টাকা, নাশপাতি কেজি ১৮০ টাকা, মাল্টা কেজি ১৮০ টাকা, আম কেজি ১৮০-২৫০ টাকা, কাঁঠাল ১৫০-২০০ প্রতিপিস, পেঁপে কেজি ১০০ টাকা, পেয়ারা কেজি ১২০ টাকা, আনারস জোড়া ৬০-৮০ টাকা ও খেজুর মানভেদে ২০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি।
ফলের খুচরা বিক্রেতারা জানান, কেজিপ্রতি আপেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। কেজিতে মাল্টার দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। নাশপাতি ৭০ টাকা ও আঙ্গুর ১০০ টাকা। আগে লাল আঙ্গুর ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫০০ টাকা ও সবুজ আঙ্গুর ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারে বাজারে ফল কিনতে আসা আবু বক্কর বলেন, ‘বাংলা কলার যে দাম তা আমার কেনার সামর্থ্যরে বাইরে। সবকিছুর দাম যদি এভাবে বাড়ে তাহলে আমরা কীভাবে চলব।’
চকবাজারের খুচরা ফল ব্যবসায়ী বিধান হোড় সুপ্রভাতকে বলেন, পাইকারি বাজার ফলমন্ডি থেকে দেশি-বিদেশি ফলগুলো আমরা নিয়ে আসি। দেশি-বিদেশি সব ফলের দাম প্রায় কেজিপ্রতি সর্বনি¤œ ৩০ সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রমজান উপলক্ষে দাম বেড়েছে কিনা জানি না। তবে বাজারে মালের কমতি নেই। আশা করছি ধীরে ধীরে কমে আসবে।
ইফতারের জন্য ফল কিনতে আসা জাবেদ ইকবাল বলেন, এই গরমে রোজা রেখে ফলের তৈরি জুস একটু ভালো লাগে। ফলনমশং ৫০০ টাকা দিয়ে যদি একটা তরমুজ কিনতে হয় তাহলে বাকি ফল কিনব কীভাবে? সব ফলের দাম বেড়েছে অনেক।
এদিকে রোজার শুরুতেই নগরীর বৃহত্তর পাইকারি বাজার ফলমন্ডিতে দ্বিগুণ দামে বিক্রয় করা হয় মাল্টাসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। যা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়ে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রতিকেজি মাল্টা পাইকারি ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও কোনো কারণ ছাড়াই রোজা শুরুর আগে তা ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। বেশি দামে মাল্টা বিক্রির অপরাধে ফলমন্ডির ৫ আড়তদারকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

ফাঁকা স্টেডিয়ামে দর্শকের কৃত্রিম আওয়াজ শুনতে চান আর্চার

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
করোনা পরবর্তী সময় ফাঁকা মাঠে ক্রিকেট ফেরানো নিয়ে নানা গুণীর নানা মত। এমন সময় দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের খেলতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য দারুণ একটি প্রস্তাব দিলেন ইংরেজ পেসার জোফ্রা আর্চার। তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী সময় গ্যালারিতে দর্শক চিৎকারের কৃত্রিম অডিও বাজানো হোক। যাতে স্টেডিয়ামের পরিবেশ রিয়ালিস্টিক হয়ে ওঠে।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা ভাইরাসের জেরে অন্যান্য স্পোর্টসের সঙ্গে বন্ধ বাইশ গজও। মাসদু’য়েক লকডাউনে থাকার পর ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে চালু হচ্ছে ফুটবল। করোনার প্রভাবে হাজার-হাজার মানুষের প্রাণ হারিয়েও দেশের প্রিমিয়র ডিভিশন লিগ চালুর ব্যাপারের অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে জার্মানি, স্পেন কিংবা ইতালির মতো দেশগুলি। তবে বাইশ গজে ক্রিকেট ফেরানো নিয়ে এখনও সদর্থক কোনও ভূমিকা নেয়নি কোনও দেশ। কিছু ক্ষেত্রে ক্রিকেট ফেরাতে ইতিবাচক আলোচনার পথে হেঁটেছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলি। তবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনই ক্রিকেট ফেরানোর প্রধান শর্ত। কিন্তু ফাঁকা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চালুর ব্যাপারটি অনেকের মতোই খুব একটা পছন্দ নয় ইংল্যান্ডের কৃষ্ণাঙ্গ পেসার জোফ্রা আর্চারের। তবে একইসঙ্গে মাঠেও ফিরতে চাইছেন তিনি। আর সে কারণে আর্চার বলছেন দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ক্রিকেট শুরু হলে সেক্ষেত্রে গ্যালারিতে দর্শক চিৎকারের কৃত্রিম অডিও বাজানো হোক। তাতে অন্তত পরিবেশটা রিয়ালিস্টিক হয়ে উঠবে। জোফ্রা জানিয়েছেন, ‘দর্শকহীন ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের যদি দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতেই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে স্টেডিয়ামের কৃত্রিম হাততালির শব্দের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সবমিলিয়ে যতটা সম্ভব রিয়ালিস্টিক করা যায়।’
প্রসঙ্গত, জরুরি অবস্থা শেষ হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ইংল্যান্ড। এখন দেখার জোফ্রার প্রস্তাব কতোা গুরুত্ব সহকারে বিবেচিত হয় সেক্ষেত্রে। এছাড়া করোনা পরবর্তী সময় ক্রিকেট ফেরাতে সতর্কতামূলক বিবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পথে ইসিবি। শোনা যাচ্ছে, পরবর্তী সময় বায়ো-সিকিওর ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজন করবে তারা। যেখানে মাঠে থেকেও ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারবে মেডিক্যাল টিম।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

শচীনের কাছে ক্ষমা চাইল অস্ট্রেলিয়ার সংস্থা

Birmingham: Former Indian cricketer Sachin Tendulkar during the 38th match of World Cup 2019, at Edgbaston stadium in Birmingham, England, on June 30, 2019.(Photo: Surjeet Yadav/IANS)

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
অবশেষে শচীনের কাছে ক্ষমা চাইল অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা স্পার্টান স্পোর্টস। চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। সংস্থাটি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায়, সেই মামলা প্রত্যাহার করলেন শচীন।
ঘটনাটা কী? ২০১৬ সালে স্পার্টান-এর সঙ্গে চুক্তি সই করেন মাস্টার ব্লাস্টার। চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের প্রতিটা প্রোডাক্টে শচীনের ছবি, নাম ও লোগো ব্যবহার করতে পারবে স্পার্টান। তার উপর আবার স্পার্টানের প্রচারের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হবে ক্রিকেট-ঈশ্বরকে। তবে ক্রীড়া সরঞ্জামের বিক্রি বাড়লেও সেখান থেকে প্রাপ্য রয়্যালটি পাননি শচীন। আর সেটা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।
বকেয়া মেটানোর জন্য বারবার অনুরোধ করেন শচীন। কিন্তু তাতে আমল দেয়নি ওই ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা। বাধ্য হয়ে চুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা। তবে ২০১৮-র সেপ্টেম্বরে চুক্তি শেষ করার পরেও শচীনের নাম ও ছবি ব্যবহার করতে থাকে স্পার্টান। শেষমেশ সিডনির এক আদালতে স্পার্টানের বিরুদ্ধে মামলা করেন শচীন। যা নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক।
অবশেষে সেই বিতর্ক শেষ হল। বৃহস্পতিবার সরকারি বিবৃতি দিয়ে শচীনের কাছে ক্ষমা চাইল স্পার্টান। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিল ভবিষ্যতে তাদের আর কোনও সরঞ্জামে অবৈধভাবে শচীনের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হবে না। পাশাপাশি সংস্থাটি স্বীকার করে নেয়, শচীন চুক্তিমতো তাদের বহু স্পনসরশিপ ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। মুম্বই, লন্ডন সর্বত্র গিয়েছেন। স্পার্টান নিজেই শচীনের সঙ্গে হওয়া চুক্তির সম্মান রাখতে পারেনি। এর ফলে মাস্টার ব্লাস্টারকে আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়। কারণ, ওই সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থাকায় আর কোনও স্পনসরশিপ চুক্তি সই করতে পারেননি তিনি। তা সত্বেও অজি সংস্থাটি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় মামলা খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

সন্তানকে হত্যার অভিযোগ তুরস্কের ফুটবলারের বিরুদ্ধে

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে করোনা ভাইরাসের উপর দায় চাপালেন তুরস্কের প্রাক্তন প্রথম সারির ক্লাবের ফুটবলার সেভহার তিকতোস। ঘটনায় হতবাক ফুটবল বিশ্ব। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ এপ্রিল।
নিজের ছেলেকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করেন সেভহার। এরপর তুরস্কের বুরসা শহরের একটি হাসপাতালে সন্তানকে ভর্তি করেন তিনি। চিকিৎসকের প্রশ্নের উত্তরে সেভহার জানান করোনা আক্রান্ত ছোট্ট কাসিম। তিনি চিকিৎসকদের আরও জানান যে তীব্র জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল তার সন্তান। সেভহারের কথা শুনে প্রথমটায় তাকে বিশ্বাসও করে নেন চিকিৎসকেরা। যদিও তদন্তের অংশ হিসেবে বাচ্চাটির শরীরে অটোপ্সি করা হয়। করোনা পরীক্ষাতেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ধীরে ধীরে সন্দেহ শুরু হয়।
সন্তানকে হত্যা করে শেষ অবধি আর নিজেকেও আর সামলে রাখতে পারেননি প্রাক্তন এই ফুটবলার। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘটনার বিবরণ দেন সেভহার। পুলিশকে তিনি জানান, ‘কাসিম ঘুমিয়ে ছিল, আমি ঘুমের মধ্যেই বালিশ দিয়ে ওর মুখ চেপে ধরি। প্রাথমিকভাবে সামান্য প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও শেষ অবধি আর পেরে ওঠেনি। পনেরো মিনিট ধরে আমি ওর মুখ বালিশ চাপা দিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায় ওর শরীর।’ জানা গিয়েছে ঘটনার পর স্থানীয়দের সাহায্য চেয়ে সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যান সেভহার। ঘন্টাদু’য়েক আইসিইউ’তে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে ছোট্ট কাসিম।
ঘটনার ভয়াবহতায় আঁতকে উঠছেন অনেকেই। কিন্তু এমন নৃশংসভাবে ছেলেকে হত্যা করলেন তিনি? উত্তরে সেভহার বলেন, ‘আমি সন্তান হিসেবে ওকে কখনই চাইনি। অজানা এক কারণে আমি ওকে সহ্য করতে পারতাম না। আমার অপছন্দের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওর।’ সেভহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুরস্কের প্রিমিয়র ডিভিশন একটি ক্লাবের হয়ে ২০০৭-০৯ খেলেছিলেন সেভহার।
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।

‘কোচ গ্রেগ অন্য খেলা খেলতেন’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
গ্রেগ চ্যাপেল। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র। যে সীমিত সময়ের জন্য তিনি ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন, সেই সময়কালই ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বিতর্কিত সময় হিসেবে পরিচিত। অনেকে বলেন, ওটাই ভারতীয় ক্রিকেটের জঘন্যতম সময়। হরভজন সিং, যুবরাজ সিংয়ের মতো তারকারা যারা কিনা গ্রেগের আমলে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন, তারাও সম্ভবত তেমনই মনে করেন। অন্তত যেভাবে প্রাক্তন কোচকে ভাজ্জি আর যুবি আক্রমণ শানালেন, তাতে তেমনটাই মনে হচ্ছে।
দিন’কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে চ্যাপেল দাবি করেন তার জন্যই ধোনি ‘পাওয়ারফুল ব্যাটসম্যান’ থেকে ফিনিশারে পরিণত হয়েছে। গুরু গ্রেগ বলেন, ‘আমি ওকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলাম ও মাঠের সব জায়গা থেকে রান তুলতে পারে কিনা। আমি বলেছিলাম, আমাদের জিততে, হবে কিন্তু আমি চাই তুমিই মাঠে সেই জয়টা নিশ্চিত কর। তুমি বল মাটিতে রেখে খেলো।’ চ্যাপেলের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই ভাজ্জি তাকে আক্রমণ করেন। টিম ইন্ডিয়ার সর্বকালের সেরা অফস্পিনার বলেন, তিনি ধোনিকে মাঠে রেখে খেলতে বলেছিলেন কারণ কোচ চাইতেন সবইকে স্টেডিয়ামের বাইরে বের করে দিতে, তিনি অন্যরকম গেম খেলতেন।’ হরভজনের সুরে সুর মিলিয়ে চ্যাপেলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন যুবরাজও। তিনি মনে করিয়ে দেন, চ্যাপেল তাকে আর ধোনিকে বলেছিলেন ‘শেষ দশ ওভারে কোনও ছক্কা হাঁকাবে না।’ একটি টুইটে তিনি শুধু চ্যাপেলের সেই উক্তিটি লেখেন এবং একটি হাসির ইমোজি দেন।
গ্রেগ চ্যাপেল ২০০৫ সালে দলের দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নিয়েই তৎকালীন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন তিনি। তাকে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়। পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয় রাহুল দ্রাবিড়কে। পরে দ্রাবিড়কেও সরানোর চেষ্টা করেন গ্রেগ। তবে তার অধিনায়কত্বের প্রস্তাবে রাজি হননি শচীন। গ্রেগের অধীনেই ভারত ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হারে। এবং টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যায়। তারপরই সরিয়ে দেওয়া হয়।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।

ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানছে

সুপ্রভাত ডেস্ক :

করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যেই ফিলিপাইনে শুক্রবার প্রচন্ড শক্তিশালী টাইফুন আঘাত হানতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৪০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
টাইফুন ভংফং উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে, উপকূলীয় হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থাকা লাখ লাখ ফিলিপিনো এই তান্ডবের মধ্যে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। তবে, ১ লাখ ৪১ হাজার ৭০০ লোক এলাকা ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা কালিটো এভরিজ এএফপিকে বলেন, ‘আমরা মাস্ক পড়ি এবং সব সময় সামাজিক দুরত্ব মেনে চলি।’ তবে, সরিয়ে আনা লোকদের মধ্যে এটি বজায় রাখা কঠিন। তবুও আমরা আমাদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।

কতৃপক্ষ বলেছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক করে লোক তারা কেন্দ্রগুলোতে রাখার চেষ্টা করবে, যাতে জনঘনত্ব কমে, যাদের মাস্ক নাই, তাদের সকলকে মাস্ক দেয়া হবে এবং পরিবারগুলোকে আলাদা আলাদা রাখা হবে।

অনেক আশ্রয়কেন্দ্র ইতোমধ্যে করোনার কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে।
ফিলিপাইনের মধ্যঅঞ্চল দিয়ে প্রথম ঝড়টি আঘাত হানছে, এই অঞ্চল দেশটির অন্যতম করোনা আক্রান্ত এলাকা, এখানে ১১ হাজার ৮০০ লোক করোনা আক্রান্ত এবং ৭৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একাধিক বিপর্যয়ে ঢেকে ফেলা ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতের আগে দেশটির সক্রিয় মেয়ন আগ্নেয়গিরি এলাকা থেকে ২২ হাজার লোক সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন দ্বীপমালা প্রতিবছর টাইফুনের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে থাকে, বছরে গড়ে অন্তত ২০টি টাইফুনের মুখোমুখি হতে হয় দেশটিকে।

এ মুহূর্তের সংবাদ

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

বেঁচে যাওয়া টাকা ফেরত পাবেন ৪৯৭৮ হাজি

সর্বশেষ

পাহাড় ও টিলায় নির্মাণ হচ্ছে বেসমেন্টসহ বহুতল ভবন

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়

চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যানে অবৈধভাবে গ্যাস পরিবহনের সময় লিক

সাবেক এমপি নদভীর পিএস গ্রেপ্তার

সাবেক চেয়ারম্যানকে ধরে পুলিশে দিল বৈষম্যবিরোধীরা

টপ নিউজ

পাহাড় ও টিলায় নির্মাণ হচ্ছে বেসমেন্টসহ বহুতল ভবন

এ মুহূর্তের সংবাদ

মশাবাহিত রোগ বাড়ছে

এ মুহূর্তের সংবাদ

চমেক হাসপাতাল : হৃদরোগ চিকিৎসায় অবহেলা নয়