নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতকানিয়া :
সাতকানিয়ায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর তালিকা। নমুনা পরীক্ষা করলেই বাদ পড়ছেন না কেউ।
এমনকি কোন ধরনের লড়্গণবিহীন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায়ও আসছে করোনা পজেটিভ। কমিউনিটি ট্রান্সমশিন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে এখন সাতকানিয়া আর করোনার ‘হটস্পট’ বললে হয়ত ভুল হবে। সাতকানিয়া বর্তমানে কোভিড-১৯ এর ‘সুপার হটস্পট’ এ এসে দাঁড়িয়েছে।
গত সোমবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি’তে করোনার নমুনা পরীক্ষায় সাতকানিয়ার ৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১জন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী ও অপর ২ জন পূর্বের আক্রান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মীর ছেলে। আক্রান্তরা বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জানা যায়, এ নিয়ে সাতকানিয়া ৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম (৭৫) নামে বৃদ্ধ ব্যবসায়ী মারা যান। নতুন আক্রান্ত ৩ জনের কাছ থেকে বিগত ৭ মে নমুনা সংগ্রহ করে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের একটি চিকিৎসক টিম।
১১ মে (সোমবার) রাতে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি’তে নমুনার পরীক্ষায় ৩ জনের পজেটিভ আসে। এর মধ্যে রয়েছে ৩০ বছর বয়সী সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী। অপরদিকে আক্রান্ত ২৫ ও ২৩ বছর বয়সের দুই যুবক হলেন, আপন সহোদর। তারা পূর্বে আক্রান্ত অপর এক স্বাস্থ্যকর্মীর ছেলে। সাতকানিয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী রহমত আলী বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে সাতকানিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন দুলাল বলেন, গত সোমবার যে দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল এদের বাবা এর আগে করোনায় আক্রান্ত হলেও নিয়ম মেনে তারা চলেনি। ট্রান্সমিশনের ফলে ২ ছেলেও আক্রান্ত হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, করোনায় আক্রান্ত ৩ জনই হোম আইসোলেশনে রয়েছে। গত সোমবার রাতে বিআইটিআইডি’তে নমুনা পরীক্ষায় তাদের পজেটিভ আসে। এ নিয়ে সাতকানিযায় ৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক বৃদ্ধ ব্যবসায়ী মারা যান।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন, আক্রান্ত ২ যুবকের ঘর আগে থেকেই লকডাউন করে দেয়া হয়েছিল। এর আগে তাদের বাবাও আক্রান্ত হন।