অবৈধ বাঁশ-কাঠ পাচারের হাট গহিরা কালাচাঁদ হাট
নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
পার্বত্য চট্টগ্রামের কাউখালী উপজেলার বার্মাছড়ি, খাগড়াছড়ি উপজেলার লক্ষীছড়িসহ পাহাড়ী এলাকার সংরক্ষিত বন এলাকার বৃক্ষ নিধন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বার্মাছড়ি এলাকা থেকে নিধন করা কাঠ অবৈধভাবে সর্তার খাল দিয়ে বাশের চালার সাথে বেধে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হচ্চার ঘাট, উত্তর সর্তা, গর্জনিয়া, পশ্চিম ডাবুয়া, চিকদাইর, গহিরা দলই নগর, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের ফতেহ নগর, নতুন হাট, ফটিকছড়ি উপজেলার ক্ষিরাম, ধর্মপুর, অবদুল্ল্যাহ পুর হয়ে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার অবেধ কাঠ পাচার করা হয়।
সর্তা খাল দিয়ে বাঁশের চালার সাথে পাচার করা কাঠ এনে, খাল থেকে কাঠ তুলে ফটিকছড়ি উপজেলার রমজুর হাট, ক্ষিরাম বাজার, আজাদী বাজার, নানুপুর বাজার, রাউজান উপজেলার আমির হাট, চিকদাইর দক্ষিণ সর্তা, গহিরা কাল চান্দ চৌধুরী হাট এলাকায় এনে স্তুপ করে ।
¯ূÍপ করা অবৈধ কাঠ করাত কলে সাইজ করে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক ও জিপ যোগে প্রতিনিয়ত বিক্রয় করে আসছে ।
রাউজানের অমির হাট, গহিরা কাল চান্দ চৌধুরী হাট, ফটিকছড়ির রমজুর হাট, আজাদী বাজার, নানুপুর বাজারে শতাধিক করাত কলে সর্তার খাল দিয়ে পাচার করা বিপুল পরিমাণ কাঠের স্তুপ পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
করাত কলগুলোতে সারিবদ্ধভাবে স্তুপ করা হয়েছে চোরাই পথে আনা সেগুন, গর্জন, কড়াই, আকাশ মনি ও গামারী গোল কাঠ। এছাড়া সর্তার খালের পাড় দখল নিয়ে বিক্রির জন্য স্তুপ করে রেখেছে পাচারকারীরা। সেখান থেকে পুলিশ ও বন বিভাগকে ম্যানেজ করে ট্রাকে ট্রাকে দ্বিতীয় দফায় কাঠ পাচার হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাউজানের অমির হাট, গহিরা কাল চান্দ চৌধুরী হাট, ফটিকছড়ির রমজুর হাট, আজাদী বাজার, নানুপুর বাজারে শতাধিক করাত কলে সর্তার খাল দিয়ে পাচার করা কাঠ দিয়ে শতাধিক ফার্নিচারের দোকানে ফার্নিসার তৈয়ার করে ।
ফার্নিচারের দোকানে তৈরী করা ফার্নিচার রাউজান ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করা হয় । সর্তার খাল থেকে কাঠ পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে রাউজান ও ফটিকছড়ির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে কাঠ পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে সর্তা খাল দিয়ে কোটি কোটি টাকার কাঠ পাচার করে আসছে ।
সর্তার খাল দিয়ে কাঠ পাচার করার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বন এলাকার বৃক্ষ নিধন হচ্ছে। অপর দিকে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সর্তার খাল দিয়ে কাঠ পাচারের সিন্ডিকেটের সাথে পাবর্ত চট্টগ্রামের উপজাতীয় চক্র জড়িত রয়েছে । উপজাতীয় চক্রটি রাতে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত বন এলাকার বৃক্ষ নিধন করে বন উজার করছে । সর্তার খাল দিয়ে বাশের চালার সাথে বেধে পাচার করা কাঠ ও রাউজান ফটিকছড়ির বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রাখা কাঠের কোন কাগজ পত্র নেই ।
এ প্রসঙ্গে রাউজান ঢালার মুখ বন কর্মকর্তা ফরেস্টার আইয়ুব আলী মন্ডল বলেন, আমি নতুন জয়েন্ট করেছি রাউজানে। এখনো সবকিছু অজানা। এছাড়া সর্তার খাল হয়ে গহিরাতে কাঠ পাচারের বিষয়টি আমি জানতাম না।