নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ :
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) সন্দ্বীপের পিছিয়ে পড়া নারী ও কন্যা শিশুদের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে প্রমোটিং রাইটস্ থ্রো মবিলাইজেশন এন্ড এমপাওয়ারম্যান্ট (প্রাইম) ২০১৮ থেকে কাজ করছে সন্দীপে।
সকল প্রকার বৈষম্য মুক্ত একটি সমাজ গঠনের লক্ষে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া নারীরা তাদের অধিকার রক্ষায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে। প্রকল্পের রয়েছে ইয়ুথ গ্রুপ। ইভটিজিং থেকে রক্ষা পেতে শিক্ষক, অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রয়োজনে আইনী সহায়তার শরণাপন্ন পায় এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপ সদস্য ফারিয়া ইয়াছমিন ইমু, মেহেরুন্নেছা সাদিয়া, সাবরিনা পারভীন তাসপিয়া, ফাহমিদা আলম পুস্প, বেলাল খান, জেবেন্নুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপ সদস্য আশিকুল ইসলাম, শিমুল রায় ও দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপ সদস্য নাজমুল আলম, কাজী আফাজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য কাজী ফাতিহা, কাজী নিজামউদ্দিন, হীরা বেগম এর সাথে কথা হয়। তারা এ প্রতিবেদককে জানায়, গত বছর সন্দ্বীপের জেবেন্নুর সুলতান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন।
নারী প্রগতির ‘দোয়েল নারী উন্নয়ন সমিতি’ এর সভাপতি আকতারা বেগম, সেক্রেটারী রোকসানা বেগম এবং ক্যাশিয়ার সবুজা বেগম।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে তারা এ প্রতিবেদককে জানায় তারা নিভৃত পল্লীর দরিদ্র নারী। সরকার প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা সমিতির সদস্যদের মধ্যে যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ছাড়া তারা ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গবাদি পশু পালন, হাঁস-মুরগী পালন, বাঁশ-বেতের কাজ, হস্ত শিল্প সহ নানা আয় বর্ধক কাজের মাধ্যমে নিজেদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে সচেষ্ট হচ্ছেন। এছাড়া শিবেরহাট কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচে ২৫ জনকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সন্দ্বীপ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মো. সামসুদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, জার্মানীর দাতা সংস্থা-গ্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডর অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের ব্যবস্থাপনায়, সন্দ্বীপ কেন্দ্র প্রাইম প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।