উৎপাদন খরচ উঠিয়ে লাভের আশা কৃষকের
শফিউল আলম, রাউজান :
রাউজান পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ পাড়া, ঢেউয়া পাড়া, দাশ পাড়া, পালিত পাড়া, হাজি পাড়া এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত খাসখালী খাল। খাসখালী খালের পাড়ের পাশে বিপুল জমিতে শুষ্ক মৌসুমে করা হয় সবজি ক্ষেত। শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি সেচের মাধ্যমে ব্যবহার করে কৃষকরা চাষ করেন। এবছর চাষাবাদের শুরুতে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষকরা এতে দমে যায়নি। বৃষ্টির পর আবারো নতুনভাবে চাষাবাদ করে। পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ পাড়া, ঢেউয়া পাড়া, দাশ পাড়া, পালিত পাড়া, হাজি পাড়ার ৪০ জন কৃষক ৬০ একর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ করেন। জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু, বেগুন, টমটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, মুলা, শালগম, পালং শাক, পুইশাক, মরিচ, ধনিয়া, সরিষা, সীম চাষ করেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় খাসখালী খালের দুই পাড়ে শুধু সবজি ক্ষেত আর ক্ষেত। একই জমিতে রোপন করা হয়েছে বাঁধা কপি, ফুল কপি, ফাঁকে ফাঁকে পালং শাক, লাল শাক, মরিচ। একই জমিতে কৃষকেরা তিন ফসল রোপন করেছে।খাসখালী খালের দুই পাড়ের জমিতে মুলা, পালং শাক, লাল শাক, লাউয়ের ফলন এসেছে। কৃষকেরা তাদের জমি থেকে উৎপাদিত মুলা ও লাউ, পালং শাক, লাল শাক তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। ফুল কপি, বাধা কপির ফলন আসতে আরো ১৫দিন সময় লাগবে বলে কৃষকেরা জানান। প্রতি বছর খাসখালী খালের পাড়ের জমি থেকে কৃষকেরা কোটি টাকার বেশি সবজি উৎপাদন করেন। রাউজান পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের শরীফ পাড়া এলাকার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি এবছর ৩৬ শতক জমিতে বাঁধা কপি, ৮০ শতক জমিতে ফুল কপি,মুলা, মরিচ, শাক রোপন করেছেন।এতে খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। এপর্যন্ত তিনি ক্ষেত থেকে শাক, মুলা বিক্রি করে পেয়েছেন ৩৫ হাজার টাকা। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম আশা করছেন বাজারমুল্য ভাল পেলে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারবে। শরীফ পাড়া, ঢেউয়া পাড়া, দাশ পাড়া, পালিত পাড়া, হাজি পাড়া এলাকার ৪০ জন কৃষককে নিয়ে গঠন করা হয়েছে আইপিএম ক্লাব। ক্লাব গঠন করার পর কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে খাসখালী খালের পাড়ে নির্মাণ করেছেন আইপিএম ক্লাব অফিস। জমি থেকে উৎপাদিত সবজি ধোয়ার জন্য খাসখালী খালে নির্মাণ করেছে পাকা ঘাট
রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসার শাব্বির আহম্মদ বলেন, এলাকার ৪০ জন কৃষককে চাষাবাদে উৎসাহ দিতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস থেকে সেচ পাম্প, সব্জি বীজ, সার দেওয়া হয়েছে। রাউজান পৌরসভার ৮নম্বর ওয়াডের্র শরীফ পাড়া, ঢেউয়া পাড়া, দাশ পাড়া, পালিত পাড়া, হাজি পাড়া এলাকার ৪০ জন কৃষক খাসখালী খালের দুই পাড়ে জমি থেকে প্রতি বছর কোটি টাকার বেশি শীতকালীন সবজি উৎপাদন করেন।