গড়ে উঠেছে কয়েকটি খামার
শফিউল আলম, রাউজান :
রাউজানে মহিষ পালনে আগ্রহী হচ্ছে মানুষ। ইতিমধ্যে একাধিক মহিষের খামার গড়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। জানা যায়, কম খরচে মহিষ লালন-পালন করা যায়। বাড়তি কোন খড় বা পানিভূষি খাওয়াতে হয় না মহিষকে। মহিষ লালন-পালন করে অল্প সময়ে ভাল দামে বিক্রি করাও যায়। বাজারে মহিষের মাংস ও দুধের চাহিদাও বেশি। যার কারণে মহিষ পালনে আগ্রহী উঠচ্ছে মানুষ। রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ খালেদ পাঁচখাইন এলাকার গড়ে তুলেছেন একটি মহিষের খামার। ২৬টি বড় প্রজাতির মহিষ রয়েছে তার খামারে। বর্তমানে দুইটি মাদি মহিষ দুধ দিচ্ছে। ১৫টি ষাড় মহিষ মাংসের জন্য প্রস্তুত করেছেন। কয়েকটি মাদি মহিষ বাছুর দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। বাকিগুলো বাছুর মহিষ। গত ৫ ডিসেম্বর শনিবার পশ্চিম পাঁচখাইন এলাকায় দেখা মেলে একটি মহিষের পাল। দুই রাখাল মহিষের পালটিকে কাঁচা খড় ও কচুরী পানা খাওয়ানোর জন্য মাঠে এনেছে। তাদের সাথে কথা হলে তারা জানায় মহিষের পালটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ খালেদের। মহিষের খামার নিয়ে কথা হলে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ খালেদ জানান, গত তিন বছর আগে মহিষের একটি খামার গড়ে তুলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মহিষ পালনে ঝামেলা কম। অধিক লাভজনক। তেমন কোন পরিচর্যা করতে হয় না। মহিষ নিজের খাওয়ার নিজে খুঁজে খায়। আমি শুধু দুইজন রাখাল রেখেছি দেখভালের জন্য। রাখালরা সকালে মহিষগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে খাওয়ার উপযোগী জায়গায় নিয়ে যায়। আবার বিকালে নিয়ে আসে। তিনি আরো বলেন, মহিষ শীতকাল ও গরম মৌসুম দুইটাই সহনশীল। যার কারণে তেমন রোগ বলাই হয় না। একইভাবে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরী হাট এলাকার বাসিন্দা স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দর হোসেনের রয়েছে একটি মহিষের খামার। তার খামারে অর্ধশত মহিষ রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা ও হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর সর্তা এলাকায় কয়েকটি মহিষের খামার রয়েছে বলে জানা গেছে।