মোহামেডানের বিদায়, শেষ আটে সাইফের সঙ্গী সেনাবাহিনী

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

স্বাধীনতা কাপের নকআউট পর্বে যেতে জয়ের বিকল্প ছিল না মোহামেডানের। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে সাইফ স্পোর্টিং গোল করে তাদের স্বপ্নে আঘাত হানে। ম্যাচের শেষ দিকে সাদা-কালোরা সমতায় ফিরলে সমর্থকদের মনে নতুন করে আশা জাগে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ১-১ গোলের ড্রতে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ থেকে আবারও বিদায় নিয়েছে মোহামেডান। বিপরীতে সাইফের সঙ্গে শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর।

তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের সেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সাইফ। মোহামেডান ও সেনাবাহিনীর পয়েন্ট ৪, কিন্তু হেড টু হেডের হিসাবে ছিটকে গেছে মোহামেডান। আর শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে সেনাবাহিনী।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিপক্ষে শুরু থেকে আর্জেন্টাইন কোচ ক্রুসিয়ানির দল ছিল আক্রমণাত্মক। তবে গোলকিপার আহসান হাবিব বিপু তেকাঠির নিচে অতন্দ্র প্রহরীর মতো খেলেছেন।

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটে সাইফ এগিয়ে যেতে পারতো। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবাগের বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান গোলকিপার। চার মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে মারাজ হোসেনের শট একইভাবে আটকান বিপু।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই গোলকিপার। ৪৫ মিনিটে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের দারুণ লম্বা ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন একসময় নাইজেরিয়া জাতীয় দলে খেলা ফরোয়ার্ড এমফন উদোহ।

এক গোলে পিছিয়ে থেকে শন লেনের দল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। এই ম্যাচে নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ওবি মনেকে খেলেছেন। কিন্তু দুই বিদেশি নিয়ে সাদা-কালোরা পেরে ওঠেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোহামেডানের মালির স্ট্রাইকার সুলেমানে দিয়াবাতের হেড ফেরান গোলকিপার মিতুল হোসেন। ৫৩ মিনিটে সাইফও চেষ্টা করেছে ব্যবধান বাড়ানোর। সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রসে শাহেদ পা ছোঁয়ানোর আগেই বিপু ছুটে এসে ক্লিয়ার করে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি।

৫ মিনিট পর দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সাইফের আশরর গফুরভ ও মোহামেডানের ইয়াসমিন মেসিনোভিচকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন রেফারি।

৬৪ মিনিটে উদোহর জোরালো শট ও পাঁচ মিনিট পর নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডেরই চিপ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে কর্নার থেকে হেডে সমতা ফেরান মেসিনোভিচ। তাতে মোহামেডান নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেও রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে তা শেষ হয়ে যায়।