মীর নাছির-মীর হেলালের দ্বন্দ্ব!

পুত্রের বিরুদ্ধে পিতার কেয়ারটেকারের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পত্তি নিয়ে বিএনপি নেতা মীর নাছির ও তার পুত্র মীর হেলালের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে হাটহাজারী থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়।
এতে মামলার বাদি ডালিয়া নুসরাত মেমোরিয়াল টাওয়ারের কেয়ারটেকার মো. নাছির উদ্দীন তার মালিক মীর নাছিরের পক্ষে মীর হেলাল ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
কিন্তু মীর হেলাল ঘটনার দিন চট্টগ্রামে ছিলেন না বলে জানান। অন্যদিকে মীর নাছির বলেন, ‘হি ইজ মাই সান।’

গত শনিবার (২২ জুলাই) রাত ৮টায় হাটহাজারী থানায় করা মামলার কারণে
এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মীর হেলালসহ তরিকুল ইসলাম ত্বকি, জিএম সাইফুল, মনিরুল ইসলাম জনি, মো সাহেদ, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুল, এমরান শিকদার, মিজানের নামে পেনাল কোর্টের ১৪৩, ৪৪৮, ৩৮৫, ৫০৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। কেননা ভবনটির মালিক মীর নাছির শান্তিপূর্ণভাবে দখল করতে চাইলেও মীর হেলাল ও তার অনুসারীরা হুমকি-ধমকি দিয়েছে। একপর্যায়ে মীর নাছির একটি হাসপাতালকে ভাড়া দিলে মীর হেলাল ও তার অনুসারীরা ২০ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টায় ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে কেন তালা খুলেছে জানতে চেয়ে কেয়ারটেকার মো. নাছির উদ্দীন ও মালিক অর্থাৎ মীর হেলালের বাবা মীর নাছিরকে গালাগাল করেন।’

এ বিষয়ে কথা হলে মীর হেলাল বলেন, ‘আমাদের এই ভবনটির নাম ডালিয়া নাজনীন টাওয়ার। এটি আমার মায়ের নামে। এটির বর্তমান মালিক আমার বাবা (মীর নাছির), আমার বোন ও আমি। এখন আমার বাবার বয়স হয়েছে। আর আমার বোন দেশের বাইরে থাকে। তাই বিষয়গুলো আমি দেখভাল করি। আমরা ভবনটির ভাড়া দেওয়ার যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন থেকেই একটি পক্ষ আমাদের ভেতরে কোন্দল আছে, এমন কিছু প্রকাশ করার চেষ্টা করছে। অথচ আমরা একই সিদ্ধান্তে আছি।’

অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯ জুলাই বিএনপির প্রোগ্রাম শেষ করে রাতের ফ্লাইটে (টিকেট সুপ্রভাতের কাছে সংরক্ষিত) আমি ঢাকা চলে আসি। আর ২০ জুলাই রাত আটটার দিকে ঘটনার কথা উল্লেখ করার বিষয়টি আমি দেখেছি। অথচ ওইদিন আমি বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যানের সঙ্গে জুম মিটিংয়ে ছিলাম। এ বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনো মামলা দিতে না পারার কারণে কোনো একটি চক্র মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাকে থামানোর চেষ্টা করছে।’

এ ঘটনার সত্যতা জানতে কথা বলতে চাইলে ভবনটির কেয়ারটেকার মো. নাছির উদ্দীন ফোন ধরেননি। যোগাযোগ করা হয় মীর নাছিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘যে এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছে, সে একটা পাগল। মীর হেলালের বিরুদ্ধে আমি মামলা দিবো কেন? হি ইজ মাই সান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত শনিবার (২২ জুলাই) একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগটির বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। ঘটনার সত্যতা বা কি হয়েছে, তা এখন বলা সম্ভব নয়। তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানলে তখন বলতে পারবো।’