মাহমুদউল্লাহ যে কারণে টেস্ট দলে

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :

জিম্বাবুয়ে সফরের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছে গত ২৩ জুন। কিন্তু এর দুই দিন পর হুট করেই টেস্ট দলে নেওয়া হলো টানা ১৬ মাস টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।

তাছাড়া গত বছর লাল ও সাদা বলের জন্য বিসিবির আলাদা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে মাহমুদউল্লাহকে শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে রাখা হয়েছিল। তাই হুট করে তার টেস্ট দলে ফেরা কৌতুহল জাগানোর মতোই ব্যাপার। সেই কৌতুহলের জবাব দিলেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। মিরপুরে শনিবার সাংবাদিকদের কাছে মাহমুদউল্লাহকে টেস্ট দলে নেওয়ার কারণ হিসেবে প্রধান আকরাম খান, ‘কাল আমরা জরুরি একটি সভা করেছি। সেখানে নির্বাচকরা ছিলেন, বোর্ড সভাপতি (নাজমুল হাসান পাপন) ছিলেন। আমাদের কিছু চোট সমস্যা দেখা দিয়েছে। তামিমের পায়ে একটু ব্যথা আছে, মুশফিকের আঙুলে একটু সমস্যা আছে। যেহেতু লম্বা সফর আর জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন, তাই আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাই স্কোয়াডে একজন সদস্য বাড়িয়েছি। ‘

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলার সময় ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছেন মুশফিকুর রহিম আর তামিম ইকবাল। তবে একমাত্র টেস্টে তাদের খেলার সম্ভাবনা বেশি বলে জানালেন আকরাম, ‘আমরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না। ৮০ শতাংশ নিশ্চিত ওরা খেলবে, কিন্তু আমরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না। আমরা মুশফিকের কথা বলছি। মুশফিকের জন্য ব্যাকআপ রাখা হয়েছে (মাহমুদউল্লাহ)। এমনকি যদি টিম ম্যানেজমেন্ট চায় ব্যাটসম্যান বেশি খেলাতে, তাহলে তো সে (মাহমুদউল্লাহ) এমনিতেই একাদশে আসতে পারে। ‘

মাহমুদউল্লাহর অন্তর্ভূক্তিতে জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য টেস্ট দলের সদস্যসংখ্যা হলো ১৮ জন। আগামী ২৮ জুন রাতে হারারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে টাইগাররা। তবে সফরটিতে কোয়ারেন্টিন থাকছে মাত্র এক দিনের। সিরিজের একমাত্র টেস্ট শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। যেখানে ১৬ জুলাই থেকে শুরু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দুটি ম্যাচ ১৮ ও ২০ জুলাই। ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই। এই সফরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজের আগে ৩ ও ৪ জুলাই হবে দুই দিনের ম্যাচ।

১৪ জুলাই হবে একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। ২০১৩ সালের পর এই প্রথমবার জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

টেস্ট দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরী, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম।

ওয়ানডে দল:  তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, শরিফুল ইসলাম।

টি-টোয়েন্টি দল: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান, নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম, সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম। খবর : বাংলানিউজ’র।