প্রশাসনের অভিযানে গাড়ি জব্দ, জরিমানা
নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া :
উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদী এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাহাড়ের ঢালু থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামানো যাচ্ছেনা। কতিপয় লুটেরা চক্র বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে দিনকে দিন নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। গেল অক্টোবর মাসে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে একাধিক ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন জব্দের পর ধ্বংস করে দিয়েছেন। তারপরও মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এবং পাহাড়ের ঢালুতে একই কায়দায় বালু উত্তোলনে জড়িত রয়েছে কতিপয় মহল। অনুরূপভাবে সোমবার ২ নভেম্বর চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন এবং চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী পয়েন্টে মাতামুহুরী নদীতে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন কতিপয় চক্র। বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা প্রশাসনের টেকনিশিয়ান এরশাদুল হকসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ এদিন বিকাল দুইটা থেকে চারটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত দুইটি নাম্বার প্লেটবিহীন ডাম্পার গাড়ি আটক এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে অভিযানের খবর পেয়ে জড়িতরা আগেভাগে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, কিছুদিন ধরে বেশকিছু বালু ব্যবসায়ী মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এতে নদীর দু’পাড়সহ নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নদীতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য পাকা স্থাপনা। সর্বশেষ সোমবার বিকাল ২টা থেকে একটানা বিকাল চারটা নাগাদ চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড দিগরপানখালী ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে নদীর তীরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওইসময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ২০১০ এর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।