‘ব্রেকফাস্ট টেবিলে কেউ পাশে বসত না’

 

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :

জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্যের উপস্থিতি বহুদিন থেকেই রয়েছে। শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ বিবাদ অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। কিছুদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার উদীয়মান পেসার লুঙ্গি এনগিডি বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ এনেছিলেন ক্রিকেট কর্তাদের বিরুদ্ধে। এবার দলের মধ্যে সাদা-কালোর বিভেদ নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার মাখায়া এনটিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারদের মধ্যে তার নাম উচ্চারিত হয়। আর তিনিই কি না সতীর্থদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আনলেন।

আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ আন্দোলন শুরু হয়েছে। তারপর বিশ্বের একের পর কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কিছুদিন আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার ড্যারেন স্যামি আইপিএলে হায়দদরাবাদ সানরাইজার্সের সতীর্থদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন। এবার এনটিনি জাতীয় দলে তার যন্ত্রণাময় অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন, ‘জাতীয় দলে দীর্ঘসময় কাটালেও কার্যত সারাটা সময় আমাকে একাকীত্বে ভুগতে হয়েছে। কেউ কখনও ডিনারে যাওয়ার জন্য আমার ঘরে টোকা দেয়নি। সতীর্থরা আমার সামনেই প্ল্যান করত, অথচ আমাকে বাদ দিয়ে। যখন ব্রেকফাস্ট টেবিলের দিকে এগিয়ে যেতাম, কেউই আমার পাশে এসে বসত না।’

এনটিনি আরও বলেছেন, ‘আমি একাকিত্ব লুকোতেই টিম বাস এড়িয়ে চলতাম। স্টেডিয়ামে যেতাম একা। কারণ, কখনও আমি টিম বাসের পিছনে গিয়ে বসলে, বাকিরা সামনের সিটে এগিয়ে যেত। আমরা একই জার্সি পরে মাঠে নামতাম। একসঙ্গেই জাতীয় সংগীত গাইতাম। তা সত্ত্বেও দলের মধ্যে আমি ছিলাম একা। দল জিতলে তা সবসময় আনন্দের। তবে হারলে সবার আগে দোষ পড়তো আমার ঘাড়ে। আমি কেন টিম বাস এড়িয়ে চলতাম, কেউ কখনও জানতে চায়নি। আসলে আমি একাকিত্ব থেকে পালিয়ে বাঁচতে চাইতাম। একাকিত্বের সঙ্গে আপস করে নিয়েছিলাম।’

খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।