বিধিনিষেধে লোহাগাড়ায় গরুর খামার মালিকদের মাথায় হাত

নিজস্ব প্রতিনিধি, লোহাগাড়া »

কোরবানের ঈদকে সামনে রেখে গরু-মহিষ ও ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন লোহাগাড়া উপজেলার ছোট-বড় প্রায় সব খামার মালিকরা। দেশীয় পদ্ধতিতে পশু মোটা তাজা করা হয়েছে বলে জানান এলাকার খামারীরা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও বিধিনিষেধের কারনে কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন লোহাগাড়ার খামার মালিকরা। ঈদের দিন যতই এগিয়ে আসছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও বাড়ছে তাদের মধ্যে। এভাবে বিধিনিষেধ অব্যহত থাকলে খামার মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে মনে করেন।
লোহাগাড়া উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ এম খালেকুজ্জামান জানান, এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৫হাজার ৩৯৩টি খামার রয়েছে।
এরমধ্যে নিবন্ধিত বড় আকারের খামার রয়েছে ৪৫টি। গরু-মহিষ ও ছাগল মোটা তাজাকরণ হয় ৩হাজার ১০৪টি খামারে। লোহাগাড়ায় কোরবানের ঈদের বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫ হাজার ২শত গরু ও মহিষ। ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ১২হাজার ৭শটি। এবারের কোরবানের ঈদের জন্য লোহাগাড়ায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১৩হাজার ৪ শ গরু ও মহিষ। ছাগল ও ভেড়ার চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ৩৫০টি। এছাড়াও অনেক ব্যাপারে রয়েছে যাঁরা বিভিন্ন এলাকা হতে গরু-মহিষ ও ছাগল সংগ্রহ করেন কোরবানে ঈদে বিক্রির জন্য। খামার মালিক ও পশু বেপারীরা ঈদে কোরবানির পশু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় থাকেন।
পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে খামার মালিকরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রির প্রচার চালাচ্ছেন। এতেও ক্রেতা সাধারণের উল্লেখযোগ্য সাড়া নেই। প্রতি বছরের ন্যায় উপজেলার প্রায় সব হাটবাজারে কোরবানি পশু বিক্রি করতে না পারলে তাদের কি উপায় হবে বুঝা মুশখিল।
খামার মালিকদের মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলার হাট বাজারগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রির সুযোগ পেলে খামার মালিক ও বেপারীরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবে বলে মনে করেন।