নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
শারদীয় দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লাসহ দেশের অন্তত ১৫টি জেলায় শতাধিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং কয়েকশ মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় চকরিয়া উপজেলা সদরের থানা সেন্টার এর সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সনাক-টিআইবি, চকরিয়ার সভাপতি বুলবুল জান্নাত শাহিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে টিআইবি’র অবস্থানপত্র পাঠ করেন সনাক চকরিয়ার ইয়েস মো. ইসফাতুল হোসাইন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাক-টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. আবু বকর, সনাক সদস্য জিয়া উদ্দিন, মহব্বত চেীধুরী, স্বজন সদস্য আবুল মাশরুর, ফাতেমা বেগম, জাহানারা বেগম, খালেদা খানম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিআইবি-সনাক চকরিয়ার সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ, ও চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিবর্গ।
মানববন্ধনে সনাক-টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. আবু বকর বলেন, আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জীবন-জীবিকার ওপর প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলমান সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসন দুঃখজনক ব্যর্থতার পরিচয় দিলো। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর শতাধিক মামলায় কয়েক হাজার আসামি করা হলো; অথচ চিরাচরিত রাজনৈতিক দোষারোপের বাইরে এখন পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানেই প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পূর্ববর্তী সমস্ত সহিংসতাতেও একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাই।
এতে প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে চলে যায় এবং নিয়মিত বিরতিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটতেই থাকে। সনাক-চকরিয়ার সভাপতি বুলবুল জান্নাত শাহিন বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বিচারহীনতার এই সংস্কৃতিই হামলাকারীদের আরো উস্কে দিচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িকতার বীজ জিইয়ে রেখেছে।