বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠন

সার্চ কমিটির সদস্যরা- (উপরে বাম থেকে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি কুদ্দুস জামান, পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন এবং (নিচে বাম থেকে) মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক মুসলিম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন।

সুপ্রভাত ডেস্ক »

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারের নিয়োগের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে এ সার্চ কমিটি গঠন করা হয়।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের বিচারক ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

সংসদ প্রণীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইনের বিধান অনুযায়ী এ সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সার্চ কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যপ্রণালি সম্পন্ন করবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কার্য সম্পাদনের প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। শনিবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত সার্চ কমিটি আইন অনুযায়ী তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে ১৫ দিন সময় পাবে। ফলে নতুন কমিশন গঠনে বর্তমান কমিশনের মেয়াদের পরেও সময় থাকছে সার্চ কমিটির। অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

উল্লেখ্য, আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের শূন্য পদে নিয়োগ দানের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে কিছুদিন এসব পদ শূন্য থাকলে আইনি কোন ব্যত্যয় হবে না।

আইনে বর্ণিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিবেচনা করে এ সার্চ কমিটি নতুন সিইসি ও ইসি নিয়োগে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন। ১০ জনের মধ্য থেকেই ৫ জনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন নতুন নির্বাচন কমিশন।