বাঘিনী জয়ার খাঁচায় নতুন দুই অতিথি

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বেঙ্গল টাইগার পরিবারে এসেছে নতুন দুই অতিথি। বাঘিনী জয়া তাদের জন্মদাতা। তবে নতুন অতিথির নাম এখনো রাখা হয়নি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুটি সন্তান প্রসব করে জয়া। বিষয়টি গোপন রাখা হয় এতোদিন। দুটিরই গায়ের রঙ লাল। জন্মের পর সদ্যোজাত সন্তানদের পরম মমতায় আগলে রেখেছে মা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘিনী জয়ার ঘরে নতুন দুই অতিথি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ সুপ্রভাতকে বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন দুটি বাঘিনী ছানার জন্ম হয়েছে। চিড়িয়াখানায় থাকা বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নিয়েছে এ ছানাগুলো। তবে এখনও তাদের নাম ঠিক করা হয়নি। বাচ্চাগুলো জন্ম নেওয়ার পর থেকেই মা বাঘ জয়ার সঙ্গেই আছে। বাচ্চা দুটি সুস্থ আছে।
শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘের অধিক মৃত্যুহার কমাতে পারছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১২টি বাঘ রয়েছে।
শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা বাঘের অধিক মৃত্যুহার কমাতে পারছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১২টি বাঘ রয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাজ ও পরীকে আনা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পরী প্রথম তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। একটি পরদিন মারা যায়। বেঁচে থাকা দুটির মধ্যে একটি বিরল সাদা বাঘÑ নাম শুভ্রা। অপরটির নাম জয়া।
এই জয়ার ঘরে এসেছে দুই নতুন অথিতি। এর আগে গত নভেম্বরে প্রথম তিনটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল জয়া। তখনো ঠিকমতো যত্ন নিতো না জয়া। সেগুলোর মধ্যেও দুটি মারা যায়। একটি বাচ্চাকে মায়ের খাঁচা থেকে বের করে বড় করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কিউরেটর শাহাদাত হোসেন ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা। নিজের হাতে দুধ খাওয়ানো, গোসল করানো, শিকার ধরতে শেখানোসহ সব তালিম দিয়েছেন তারা। তার নাম রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামে। এখন সে স্বাবলম্বী, নিজের খাবার নিজেই খেতে পারে।
রাজ ও পরী থেকে পাঁচ বছরেই চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা এখন ১২টিতে পৌঁছেছে।