বাঁশখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি নিহত

সংবাদদাতা, বাঁশখালী :

বাঁশখালী পৌরসভার হারুন বাজার এলাকায় সোমবার ভোররাতে র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আব্দুল মজিদ (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তার কাছ থেকে র‌্যাব ১টি এলজি ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে।

সে বৈলছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম চেচুরিয়া ঘোনা পাড়ার লেদু মিয়ার পুত্র।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ এপ্রিল বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনার এমদাদিয়া পাড়ার এক কিশোরী দারিদ্রতার কারণে বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেচুরিয়া ঘোনা পাড়ায় কাজের সন্ধানে আসে।

ওখানে রমজান মাসে খালেদা বেগম নামের এক মহিলার বাড়িতে ইফতার সেওে বাড়ি ফেরার সময় রাত সাড়ে ৮টায় গতিরোধ করে স’ানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব (৪৫), মো. আব্দুল মজিদ (৩০) ও আরও একজন অজ্ঞাত যুবকসহ মোট ৩জনে মিলে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। ওইসময় ওই পথ দিয়ে যাবার সময় গ্রাম্য ডাক্তার শহীদুল ইসলাম কিশোরীর আর্তচিৎকারে গণধর্ষণের ঘটনা দেখতে পেয়ে তিনি সাহস করে ওই বখাটে ধর্ষকদের কবল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে।

পরে ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে ওই ৩ জনকে আসামি করে বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গণধর্ষণ মামলার ১ নম্বর আসামি মো. আব্দুল মজিদ র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে র‌্যাবের পড়্গ থেকে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।