ফ্যাশন ডিজাইনের প্রাচীন দৃষ্টান্ত মসলিন

ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে ড. অনুপম সেন

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, বাংলাদেশে ফ্যাশন ডিজাইনের প্রাচীন দৃষ্টান্ত হলো মসলিন। প্রাচীনকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি হতো এবং এসব দেশের অভিজাত শ্রেণির মহিলারা ফ্যাশনের জন্য মসলিন পরিধান করতো।

১৮ অক্টোবর সকাল ১১টায়, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ ভবনে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি বিভাগের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম ও রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান। বিভাগের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার দাশ সভাপতিত্ব করেন।ড. অনুপম সেন আরও বলেন, মসলিন প্রমাণ করে, প্রাচীনকালে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প সমৃদ্ধ ছিল। কৌটিল্য ও রোমান ইতিহাসবিদরা এদেশের বস্ত্রশিল্প নিয়ে লিখে গেছেন। অষ্টম অথবা নবম শতকে আরব বণিক ও বিখ্যাত পরিব্রাজক সোলেমান বলেছিলেন একটি মসলিন কাপড় এত সূক্ষ্ম যে তা একটি আংটির ভেতর দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের একটি প্রধান শিল্পকেন্দ্র। এই শিল্পকেন্দ্রে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজির ভূমিকা বিরাট।

ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক বলেন, আমাদের গার্মেন্টস শিল্পকে এগিয়ে যেতে হলে তাকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগুতে হবে এবং তা অনেকখানি নির্ভর করে ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজির উপর।

কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, একসময় কেউ ফ্যাশন করলে নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হতো। তখন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে বিভাগ খোলার কথা চিন্তাও করা যেতো না। এখন সময় পাল্টেছে। মানুষ ফ্যাশন সচেতন হয়েছে। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি তার উদাহরণ।

রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান বলেন, ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হলেও তার একটি বড়ো অংশ নির্ভর করে প্রকৌশল বিদ্যার উপর। সুতরাং এই বিভাগটি প্রকৌশল বিভাগের অধীনেও থাকতে পারত। বিজ্ঞপ্তি