ফোন পেলেই ছুটে যাচ্ছেন একঝাঁক তরুণ

বড়উঠান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা পরিষদ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আনোয়ারা :

করোনার এ দুর্যোগ নয় যে কোনো চিকিৎসা সেবা দিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ফোন পেলেই ছুটে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য সেবা পরিষদের একঝাঁক তরুণ। রাত-দিন যখনই ফোন পাচ্ছেন তাৎক্ষণিক ছুটে গিয়ে রোগীর উদ্দেশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তারা।

ওই তরুণরা বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম চৌধুরীকে প্রধান উপদেষ্টা করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদ স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠা করে। গত এক মাস ধরে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের চলা এই কার্যক্রম উপজেলার সব মহলে প্রশংসিত হয়ে ও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এ সেবার মাধ্যমে নানা শ্রেণির মানুষের কাছে দ্রুত ওষুধ, খাদ্য পৌঁছে যাচ্ছে। এ সেবায় ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি মাস্ক ও স্যানিটাইজার সামগ্রী প্রদানসহ বিভিন্ন জনহিত কাজ করছেন এ সংগঠনের সদস্যরা।

স্বাস্থ্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আবদুল শুক্কুর জানান, সেবা পাওয়ার জন্য ফোন দিলেই প্রথমে গ্রামের পলস্নী চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে যায় এবং হাসপাতালে নেওয়ার বেশি প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয় আমাদের স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যদের মাধ্যমে। এছাড়াও গরিব অসহায়দের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ অসুস’ রোগীর জন্য জরুরি পরিবহন ব্যবস্থা দেয়া হয়। করোনায় কেউ মারা গেলে তার লাশ দাফনে ব্যবস্থা করছে এই সেবা সংগঠনটি।

সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ও বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, করোনাকালে ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নিয়েছে এ ইউনিয়নের তরুণরা। তারা শুধু করোনা আক্রান্ত নয়, যে কোনো রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় সেবা পেতে ফোন করলে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সংগঠনের কর্মীরা। আমি তাদেরকে সহযোগিতা করছি। এ ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসা সেবায় যে কোন সহযোগিতা করতে আমি প্রস’ত। করোনা পরিসি’তি যতদিন থাকবে ততদিন এই সেবা অব্যহত থাকবে