কক্সবাজারে সেনাপ্রধান
পুনর্বাসন হবে ৩৮০৮টি পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্ত ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩৮০৮টি পরিবারের পুনর্বাসন করা এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
গতকাল শনিবার কক্সবাজারের খুরুশকুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনে তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শনকালে তিনি প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান ও মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, প্রকল্পটি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে পাইল ফাউন্ডেশন দিয়ে ১১৯টি ৫তলা ভবন নির্মাণ অন্যতম। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ নানাবিধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামী জুন ২০২৩ এর মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। সেনাবাহিনী প্রধান নির্ধারিত সময়ে মানসম্মত নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
পরে সেনাপ্রধান ইনানী এবং মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়িতে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন এবং কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান দেশের ভৌত অবকাঠামোগত নির্মাণে নিয়োজিত সকল স্তরের সেনা সদস্যদের কার্যকর ভূমিকা রাখায় ধন্যবাদ জানান এবং তাদের প্রশংসা করেন। ‘সমরে আমরা শান্তিতে আমরা’ এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের উন্নয়নে অগ্রগামী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।