ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা কৃষকের
সুমন শাহ্, আনোয়ারা :
আনোয়ারার পারকি এলাকার বালির চরে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত কোয়ার্টার সার্ভিস এরিয়ার প্রায় চার একর চরে প্রথম বারের মত শখের বসে তরমুজ চাষ করেছেন স্থানীয় আয়ূব আলী, হেসকেল খাঁন, নুর মোহাম্মদ ও আবদুল কাইয়ূম নামে চার ব্যক্তি। এতে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগে তরমুজ, লাউ, কলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষাবাদও করেছেন।গত রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে গিয়ে দেখা যায়, বারশত ইউনিয়নের পারকি এলাকার বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত কোয়ার্টার সার্ভিস এরিয়া এলাকার বালু ভরাটকৃত বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে সরকারের উন্নয়ন কর্মজ্ঞ। অন্যদিকে ৪ একর জমি জুড়ে তরমুজ চাষে ভরে গেছে। ইতিমধ্যে ক্ষেতে তরমুজ সাত থেকে আট কেজি, আবার কোনো তরমুজ দুই থেকে তিন কেজি হয়েছে এবং ক্ষেত থেকে তরমুজ বিক্রি করাও শুরু করেছে চাষিরা। নৌবাহিনীর প্রস্তাবিত কোয়ার্টার সার্ভিস এরিয়া এলাকার ৪ একর জমিতে অনুমতি নিয়েই কিছুদিনের জন্য শীতকালীন তরমুজসহ বিভিন্ন সবজির চাষাবাদ করেছেন বলে জানিয়েছে নুর মোহাম্মদ নামে এ চাষি।চাষি আয়ূব আলী জানান, এইবার প্রথম আমরা ৪ জনে মিলে ৪ একর চরে শখের বসে তরমুজসহ নানান শীতকালীন সবজির চাষাবাদ করেছি। বেশ ভালো ফলন হয়েছে, আশা করছি লাভবান হবো। তারমধ্যে নতুন বালু চরে তরমুজ বেশি হয়েছে।কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার বারশতের পারকি এলাকার বালির চরে, রায়পুরে শঙ্খের মোহনার চরে, হাইলধরের ফকিরার চর ও উত্তর চাতরী এলাকায় শীতের শুরুতেই ৪৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা। এখানকার এসব তরমুজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানেও। এতে করে খুশি চাষিরাও। অনেকেই আবার শখের বসে করেছেন তরমুজ চাষ।স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন মঞ্জু জানান, একসময়ে পতেঙ্গার তরমুজের পাশাপাশি পারকি চরের তরমুজের সুনাম ছিলো চট্টগ্রামে। বিভিন্ন কারণে গত কয়েক বছর ধরে পারকি এলাকার চরের সে তরমুজ ক্ষেত আর দেখা যায়। অনেকদিন পর আবার দেখলাম বালিতে তরমুজ চাষ।আনোয়ারা উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, এবার ৪৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা। এ উপজেলার এবার আগের চেয়ে ভাল ফলন হয়েছে। যেখানে প্রতি দুই শতক জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা চাষীদের লাভ হতে পারে চাষিদের। বিষমুক্ত নিরাপদ তরমুজ উৎপাদনে এবং গ্রীস্মকালে অধিক লাভজনক তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি এবং ডেমো করে প্রদর্শন করছি। চাষিদের মাঠে গিয়ে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।