পাখির লালার মূল্য লাখ টাকা

সুপ্রভাত ডেস্ক :
গুহা পৃথিবীর সবচেয়ে কম ভ্রমণ করা জায়গাগুলোর একটি। পৃথিবীর দুর্গমতম এসব জায়গায় অদ্ভুত সব প্রাণীর বসবাস। এখানকার অধিকাংশ প্রাণীই ক্ষুদ্র আকারের সরীসৃপ এবং পতঙ্গ জাতীয়। বড় প্রাণীদের মধ্যে বাদুড় গুহার প্রতীকী স্থান দখল করে আছে। তবে বোর্নিওর গোমান্টং এবং নিয়াহ গুহায় অসাধারণ পাখিও বসবাস করে। কেভ সুইফটলেট।
বাদুড়ের মতোই এরা চলাচলের জন্য শব্দের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে। ফলে নিখাদ অন্ধকারেও এরা খুব সহজেই নিজেদের বাসা খুঁজে পায়। যা কিনা আকারে মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার।
এটি অসাধারণ দক্ষতা যা এখনো আমরা পুরোপুরি বুঝতে ব্যর্থ। আরেকটি কারণে এই পাখিগুলো জগত বিখ্যাত। ছোট এই বাসাটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয় এদের লালা থেকে।
একটি বাসা তৈরি করতে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে। সুইফটলেটের লালা বাতাসের সংস্পর্শে আসতেই সাদা রঙের কঠিন পদার্থে রূপ নেয়। এই বাসাগুলো শুধু পাখির কাছে মহামূল্যবান নয়।
প্রায় ৫০০ বছর ধরে মানুষ সুইফটলেটের বাসা সংগ্রহ করে আসছে। বাসা সংগ্রহ করা খুবই বিপজ্জনক কাজ। বিশেষ কোনো প্রকার নিরাপত্তা সরঞ্জাম ছাড়াই এরা প্রায় ২০০ ফুট উপরে উঠে যায়। কাজটি অনেক দুরূহ হলেও প্রাপ্তিটা অনেক বড়।
সাদা রঙের এই পাখির বাসা ‘বার্ড নেস্ট সুপ’ এর প্রধান কাঁচামাল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং চীনে এটি এক মূল্যবান উপাদেয় খাবার।সুইফটলেটের বাসা প্রতি কেজির মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। বাসা অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে পাখিটি আবার নতুন বাসা বানানো শুরু করে।
এর ফলে পরিকল্পিতভাবে বাসা সংগ্রহ করলে সুইফটলেটরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। কারণ এরা বিগত ৫০০ বছর ধরে সফলতার সঙ্গে এ কাজ এসেছে। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।