পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে সন্ত্রাসী হামলা

পাকিস্থানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান

হামলাকারীসহ নিহত ১০

সুপ্রভাত ডেস্ক :<

পাকিস্তানের করাচিতে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এই হাই সিকিউরিটি জোনে হামলা চালানো হয়। এতে জঙ্গিসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সকাল পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ কম্পাউন্ডে সন্ত্রাসী হামলায় একজন সাব ইনস্পেক্টর এবং চার জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। একজন বেসামরিক লোকও হামলায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো সাত জন। তবে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের গুলিতে হামলাকারী চার সন্ত্রাসীকেও হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আজ সকালে আশপাশের ভবন থেকে গুলি বিস্ফোরণের  শব্দ শোনা যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানি পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে হামলাকারী চার সন্ত্রাসীই নিহত হয়েছে। পুলিশ গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে। আর কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে রয়েছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের নিয়ে হামলা করে। তারা প্রথমে ভবনকে লক্ষ্য করে গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর এলোপাতারি গুলি করতে থাকে। তারা ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দেয়। সিন্ধু রেঞ্জার্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ রেঞ্জার সদস্যরা চলে আসেন এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের গুলি বিনিময় হয়। এতে চার সন্ত্রাসীই নিহত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে উন্নত অস্ত্র, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। পাশেই পার্ক করে রাখা একটি গাড়িতে করে তারা এসেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী গাড়িটি আলামত হিসেবে হেফাজতে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। করাচি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শহরের অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ অফিস ট্রেডিং সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ফারুক খান এই হামলাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করেছেন, সেই সঙ্গে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর ত্বরিৎ পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, করোনার কারণে অন্য সময়ের চেয়ে স্টক এক্সচেঞ্জে লোকজন বেশ কম ছিল। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে প্রায় হাজার কর্মী এখানে কাজ করেন। এখন অনেকেই বাসা থেকে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল কিন্তু প্রবেশমুখেই তারা বাধার মুখে পড়ে। একজন সন্ত্রাসীও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। এছাড়া শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ হয়নি বলেও জানান ফারুক খান।