পর্যটন জোন নির্মাণে উচ্ছেদ আতঙ্কে বসবাসকারী পরিবার

মানিকপুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মানিকপুরে ১৬ভিলেজার পরিবারের ৬০ বছরের ভোগদখলীয় অন্তত কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বনজ সম্পদসহ ভূমি লুটের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল প্রশাসনের চোখ ফাঁিক দিয়ে কৌশলে এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের। ফলে সহায়-সম্পদ হারানোর ভয়ে আতঙ্কে ভুগছেন এসব পরিবার। মোক্তার আহমদ বলেন, তারা যেসব জায়গায় বসবাস করছেন ও চাষাবাদ করছেন সেগুলো সরকারি খাস খতিয়ানের আওতাধীন নয়, কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল পর্যটন জোনের নাম ব্যবহার করে তাদের ওই জমি থেকে কয়েকদিনের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে নিজ খরচে পরিস্কার করে দিতে বলে। এতে করে তারা চরম আতংকে দিনযাপন করছেন বলেও জানান । তিনি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক অসহায়দের জমি কেড়ে না নিয়ে পর্যটন জোনের জায়গা চিহ্নিত করার দাবি জানান। এদিকে গত ১০ডিসেম্বর উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা মানিকপুরের ভিলেজারপাড়ার বাসিন্দারা জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফাঁশিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, মানিকপুর ভিলেজারপাড়ার জায়গা বনবিভাগের। মানিকপুরে পর্যটন জোন করার বিষয়টি শুনেছি। সুরাজপুর মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক জানান, মানিকপুর পর্যটন জোন হচ্ছে সরকারি জমিতে। সেখানে কারো জমি দখলের সুযোগ নেই। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে মানিকপুর পর্যটন জোনের উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে আমি উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা করছি মাত্র।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ জানান, মানিকপুর পর্যটন এলাকায় প্রায় ৫৭ একর খাস এবং দুই একরের কাছাকাছি বনবিভাগের জমি রয়েছে। সেখানে পর্যটনজোন করা হচ্ছে। তবে কেউ বনবিভাগের জায়গাতে অবৈধভাবে থাকতে পারবে না। দুই-একটা পরিবার আগে থেকে ছিলো। আমরা তাদেরকে অন্য জায়গায় সরিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেবো।