নারী-শিশুদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তায়কাজ করছে সরকার

মতবিনিময়ে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা

নিজস্ব প্রতিবেদক »

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। নারীদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামসহ চারটি বিভাগে ১০তলা ভবন, ৬টি জেলায় ৬ষ্ঠ তলা ভবনে ডিএনএ ল্যাব ও ডিএনএন প্রোফাইলিং ল্যাব স্থাপন করা হবে। প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, শুধু বরাদ্দ আসাটা বাকি। সেটাও খুব শীঘ্রই পাওয়া হবে, তারপর কাজ শুরু হবে।

গতকাল বুধবার সকালে চমেক হাসপাতালে স্থাপিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি এবং ৭টি বিভাগ এবং ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভাগীয় ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের জন্য মনোসামাজিক কাউন্সেলিং প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকায় ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার এবং ৮টি রিজিওনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ন্যাশনাল হট লাইন ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোট ৬৭টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেল স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সেবা অব্যাহত রয়েছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদা পারভীন বলেন, ‘অতীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ছিলো। সরকারের আন্তরিকতায় বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। এখন কোনো নারী ও শিশু নির্যাতন হলে ১০৯ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে পাচ্ছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

চমেক হাসপাতালের সাফল্যর অগ্রগতি তুলে ধরে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসার সেবার মান বেড়েছে অনেক গুণ। নারী শিশুদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রয়েছে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ও ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি। তবে কোনো ডিএনএ টেস্ট করলে সেটা ঢাকা পাঠাতে হয়। যার কারণে বিচারিক চাওয়া মাত্র আমরা রিপোর্ট দিতে পারি না। আটকে থাকে বিচারিক কাজ। চট্টগ্রামে টেস্টের ব্যবস্থা হলে অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে।’

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও ডিএনএ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবেদা আক্তার, ডিএনএ অধিদপ্তরের পরিচালক যুগ্মসচিব সুফিয়া নাজিম, হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহানা আক্তার ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অংসুই ফ্রু মারমা।