নারীবাদ কোনো ‘ফ্যাশন’ নয় : কেট ব্ল্যানচেট

 

সুপ্রভাত ডেস্ক :

সত্তরের দশকের লিঙ্গ বৈষম্য এখনও হলিউডে একইভাবে বিদ্যমান, এমনটাই মনে করেন অভিনেত্রী কেট ব্ল্যানচেট। এক সাক্ষাৎকারে অস্কার জয়ী এই অভিনেত্রী কথা বলেছেন হলিউডে নারীদের প্রতি বৈষম্যের চিত্র নিয়ে।

রেডিও টাইমে দেয়া সাক্ষাৎকারে কেট ব্ল্যানচেট জানান, অভিনয় জগতে পুরুষদের কারণে নারীদের নানাভাবে বৈষম্য এবং বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়।

তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়েই জেনে এসেছি যে নারী এবং পুরুষ সমান। কিন্তু এটা বুঝি না যে ইন্ডাস্ট্রির কাজের পরিবেশে কেন সেটার প্রতিফলন দেখতে পাই না। একটা পর্যায়ে গিয়ে প্রতিটি সেটে আমি নারী এবং পুরুষের সংখ্যা গুনতে শুরু করেছিলাম।’

কেট আরও বলেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারে আমি থাকতাম ৩৫ পুরুষের মাঝে একজন নারী। ২৭ জন পুরুষের মাঝে একজন নারী। ১৬ জন পুরুষের মাঝে একজন নারী। ভাবতাম এটাই হয়তো স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, নারীবাদ কোনো ‘ফ্যাশন’ নয়। এটা খুবই প্রয়োজন এই মুহূর্তে।

কেট ব্ল্যানচেট বলেন, ‘যেসব বিষয়ে ১৯৭০ এবং ১৯৭১-এ আলোচনা করা হয়েছিল, সেগুলোই নতুন করে এখন আলোচনায় আসছে। সমলিঙ্গের বিয়ে, একই বাথরুম নারী-পুরুষ উভয়ের ব্যবহার, এসব বিষয় নতুন নয়।’

কেট ব্ল্যানচেটকে দেখা যাবে ‘মিসেস আমেরিকা’ সিরিজের ফিলিস শ্ল্যাফলি চরিত্রে। এই সিরিজে সত্তরের দশকের সমাধিকার সংশোধনী আন্দোলন দেখানো হবে। ১৯৭২ সালে সমাধিকার সংশোধনী প্রস্তাবনাটি গৃহীত হওয়ার পরপরই শ্ল্যাফলি এর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেন এবং ‘স্টপ ইরা’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এই সংগঠন থেকে প্রচারণা চালানো হয় সমাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে নারীরা সংসার বিমুখ হবে, অবাধ যৌনাচারে লিপ্ত হবে এবং শিশুরা মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে। এই প্রচারণায় সমাধিকার সংশোধনী আন্দোলনের ব্যাপারে আমেরিকানদের মনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। ফলে সম অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টা বিফলে যায়।