নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকায় চসিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বিদ্যালয় ও কলেজ ভবনের উদ্বোধনকালে মেয়র

পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন ভবন নির্মিত হয়। নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। চসিকের নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জাইকার অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্মত ও আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে কর্পোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত আলো বাতাসের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মনের ভেতর যে সুপ্ত প্রতিভা, সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে তা শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যম হচ্ছে শিক্ষা। এ লক্ষ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরবাসির সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ¯œাতক ডিগ্রী কলেজসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। নগরবাসির ট্যাক্সের টাকায়ই চসিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহ পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল বুধবার দুপুরে পতেঙ্গা সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল বারেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহনুর বেগম, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা বেগম লুৎফুন নাহার।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-অধ্যক্ষ ইসমত আরা। উপস্থিত ছিলেন- প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতি. প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মুনিরুল হুদা, ঝুলন কুমার দাশ প্রমুখ।

মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় যে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন তা আজ বাস্তব। এখন আমরা স্কুল কলেজের ভর্তি, ফলাফল, হাজিরা, বেতন জমাকরণ ও দাপ্তরিক কাজসহ প্রায় সব বিষয়ে ডিজিটালাইজ করতে সক্ষম হয়েছি। শুরু করতে পেরেছি নিজস্ব ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতি। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণে সম্ভব হয়েছে। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরকে ডিজিটাল হতে হবে। তিনি জানান, অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ২১ কোটি ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা।

নবনির্মিত এই ভবনে রয়েছে অত্যাধুনিক সোলার সিস্টেম, জেনারেটর ও সাবষ্টেশন, দূর্যোগকালিন সময়ে নিরাপদে প্রতিবন্ধীসহ মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র, কেন্টিন ২টি, প্রশাসনিক কক্ষ, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ ১৮টি, অধ্যক্ষ রুম, প্রধান শিক্ষকের রুম, টিচার্স রুম ২টি, আধুনিক শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিজ্ঞানাগার (কস্পিউটার ল্যাব ২টি, কেমিস্ট্রি ল্যাব ২টি, বায়োলজি ল্যাব ২টি, পদার্থ বিদ্যা ল্যাব ২টি) লাইব্রেরী ২টি, অ্যাম্পি থিয়েটার, লিফট ২টি, প্রতিফ্লোরে ওয়াশরুম, গার্লস কমনরুম ২টি, মিটিং রুম ২টি, এ্যাডমিশন ফান্ড, একাউন্টস অফিস ২টি, ইনডোর গেম, সুপ্রশস্থ বারান্দাসহ বহুমুখী সুযোগ সুবিধা। বিজ্ঞপ্তি