সুপ্রভাত ডেস্ক »
পশ্চিমবঙ্গের পর তৃণমূলের টার্গেট এখন ত্রিপুরা। ত্রিপুরার সাত জন সাবেক বিধায়ক এবং মন্ত্রী সদ্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একসময়ের বাম দূর্গ ত্রিপুরা এখন বিজেপির গড়। সেখানে থাবা বসাতে চাইছে তৃণমূল। সে কারণেই আই প্যাক কর্মীদের আটকে রাখার বিষয়টিকে তৃণমূল ইস্যু করতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
এর আগে প্রশান্ত কিশোর সংস্থা আই প্যাকের কর্মীদের ত্রিপুরায় আটক করা হয়েছিল। এবার ত্রিপুরায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের যুব নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, এর পিছনে আছে বিজেপি। আর বিজেপি বলছে, পুরোটাই বানানো। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নাটক।
তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা আক্রান্ত হন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। ত্রিপুরায় তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, তাদের মারধর করা হয়েছে। নারী নেত্রীও আক্রান্ত। বিজেপি এটা করেছে। তারা এখন বাঁচার জন্য এরকম কথা বলছে। বিক্ষোভ দেখানো ও করোনাকালের নিয়ম ভাঙার জন্য তৃণমূলের ১৪ জন নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তারা জামিন পান।
আর বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ বলেছেন, ছাত্র মেরে ছাত্র রাজনীতি ও কৃষকদের মেরে কৃষক রাজনীতি বিজেপি করে না। ওটা তৃণমূলকেই করতে দেখেছি।
ত্রিপুরার যা অবস্থা তাতে কয়েকমাস আগের পশ্চিমবঙ্গের কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। ভোটের আগে বিজেপি সেখানে এই অভিযোগ করত, আর তৃণমূলের জবাবটাও একই হতো। তৃণমূল তো বিজেপি-র অন্য রাজ্যের নেতাদের বহিরাগত পর্যন্ত বলতেন।
এই ঘটনার পর দোলা সেন সহ তিনজনকে কলকাতা থেকে পাঠায় তৃণমূল। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আবার ত্রিপুরা যান। তিনি সেখানে বলেন, ”কীভাবে বিজেপি-কে হারাতে হয় তা তৃণমূল জানে। বিপ্লব দেব সরকারের শেষের শুরু হয়েছে। ত্রিপুরায় যারা মার খাচ্ছেন, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করছে। সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে কিছু নেই।” ঠিক এই কথাগুলো পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলতেন বিজেপি নেতারা।
অভিষেকের দাবি, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে। তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে মারধর করে থামানো যাবে না।
ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা ও তাঁদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হত্যা রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সংসদে অধিবেশন শুরুর আগেই এই কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। পরে সংসদেও ত্রিপুরার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হবে তাঁরা, তেমনই শোনা গিয়েছে। ত্রিপুরায় যা ঘটছে, তাতে কেন্দ্রের মদত রয়েছে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
সূত্র : ডয়চে ভেলে,আনন্দবাজার,পিটিআই