সুমন শাহ্, আনোয়ারা »
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। তবে সেতু নির্মাণের ১৬ বছর পার হলেও তৈরি হয়নি সেতুর দুইপাশে চলাচলের রাস্তা। এতে সেতুর সুফল পাচ্ছেন না আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া-রুদুরা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার ইছামতি নদীর ওপর ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।২৫ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ডমুরিয়া এলাকার ছুয়ালি সেতু এলাকায় গিয়ে ও স্থানীয়দের কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য গত তৎকালীন বিএনপি সরকার ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করে। সেতু নির্মাণ হওয়ার পর ২-৩ বছর মানুষ যাতায়াত করলেও সড়ক না থাকায় কোনো সময়ে যেতে পারেনি যানবাহন। সেতুর দু’পাশেই নির্মিত কালা গাজী সড়ক নাম থাকলেও হয়নি কোনো সড়কও। যার ফলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি ১৬ বছর ধরে জনসাধারণের কোনও কাজে আসছে না। সেতুটির পাশে সড়ক না থাকায় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন সদর থেকে ৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে।স্থানীয় সাংবাদিক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ গ্রামবাসীর প্রাণের দাবি ছিল নদীর ওপর সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মাণের সেই দাবি পূরণ হলেও পারাপারের সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কোনো কাজেই আসছে না। এর ফলে স্থানীয় রোগী, শিক্ষার্থী আর ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা চরম দুর্ভোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় পায়ে হাঁটার পথটিও বিলীন হয়ে গেছে। যেতে হয় বাশের সাঁকো দিয়ে। বর্ষা আর জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকায় সমস্যাটি এখন চরম আকার ধারণ করেছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাতরী ইউনিয়নের ডুমুরিয়া-রুদুরা, কৈইখাইনসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের উপজেলার সদরে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক ব্যবস্থা এটি। সেতু নির্মাণ করা হলেও তৈরি করা হয়নি যাতায়াতের সংযোগ সড়ক। ১৬ বছরের সেতুটির সংযোগ সড়ক তৈরি না হওয়ায় স্থানীয়দের কোনো কাজে আসছে না এটি। স্থানীয় বৃদ্ধ মোহাম্মদ সগির আহমদ বলেন, আমাদের জীবনযাত্রা মান উন্নয়নের নামে চলছে নাটক। এ সেতু নির্মাণের আগে যেভাবে যাতায়াত করেছি এখনও সড়ক ব্যবস্থা না হওয়ায় একইভাবে যাতায়াত করছি। দেখতে দেখতে তো অনেকটা বছর পার হয়ে গেল, কিন্তু এখনো হয়নি কোনো সড়ক। সড়কের অভাবে এখন তো সেতুটিও ভেঙ্গে যাচ্ছে। দু’পাশে সড়ক নির্মাণ হলে উপকৃত হবে এলাকাবাসী।এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য বড় একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে। অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা হবে।
গ্রাম